বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনলাইন ফুড সার্ভিস ওয়েবসাইট জোমাটো (Zomato) আজকাল শিরোনামে উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, অ-হিন্দু ডেলিভারি বয় এর থেকে খাবার নেওয়ায় অস্বীকার করা Zomato ইউজারকে জবাব দিয়ে গোটা দেশে নাম কামিয়ে নিয়েছে এই ওয়েবসাইট। দেশে এখন সবাই Zomato এর সমর্থন করছে। আবার কিছু মানুষ Zomato এর দুর্নামও করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন Zomato এর বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন ও চালানো হচ্ছে।
কিছু দিন আগেই এক Zomato ইউজার অ-হিন্দু ডেলিভারি বয় এর থেকে খাবার নিতে অস্বীকার করেছিল। আর ইউজারের খাবারের ডেলিভারি না নেওয়ার জন্য, Zomato পয়সাও ফেরত দেয়নি। ইউজার অমিত শুক্লা এই ইস্যু নিয়ে একটি ট্যুইট করেছিলেন। আর সেই ট্যুইটের জবাবে Zomato লিখেছিল, ‘খাবারের কোন ধর্ম হয়না। খাবার নিজেই একটা ধর্ম।” এরপর অনেকেই Zomato এর সমর্থন করেছে, আবার অনেকে Zomato এর ব্যাবহারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
কিছু ইউজার Zomato এর বিরুদ্ধে পোস্ট করে লিখেছে, ‘হালাল মাংস যারা চায়, Zomato তাঁদের ভালো সার্ভিস দিয়ে তাঁদের দাবি পূরণ করে।” কিছু ইউজার ট্যুইতারে স্ক্রিনশট শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে Zomato হালাল মাংস ডেলিভারি দিয়ে ইউজারদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। গুগল প্লে স্টোর আর অ্যাপেল স্টোরে অনেক ইউজার Zomato অ্যাপকে ওয়ান স্টার রেটিং দিচ্ছে। আর তাঁর সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় BoycottZomato হ্যাশ ট্যাগ ইউজ করে এই অ্যাপ কে বহিস্কারের ডাক দিয়েছে।
যদিও হালাল আর নন হালাল মিট নিয়ে Zomato তাঁদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সাফাই দেয়। Zomato জানায়, ‘হালাল মিট এর ট্যাগ রেস্তোরাঁর তরফ থেকে লাগানো হয়। এই ট্যাগ আমাদের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের তরফ থেকে লাগানো হয় না। রেস্তোরাঁ হালাল ট্যাগ ইউজ করে নিজেদের আলাদা দেখানোর চেষ্টা করে। Zomato ওই ট্যাগ ইউজ করে নিজেদের আলাদা দেখাতে চায় না।”
Zomato ট্যুইট করে লেখে, ‘আমরা শুধু কাস্টমারকে তথ্য দিই, যাতে ওরা সহজেই নিজেদের পছন্দ নির্বাচন করতে পারে। একটি গ্রুপ হিসেবে এটা আমাদের কর্তব্য যে, আমরা গ্রাহকদের তাঁদের পছন্দ নির্বাচন করতে সাহায্য করি।” কোম্পানি ট্যুইট করে লেখে, ‘ রেস্তোরাঁ কে হালাল সার্ভ করার সার্টিফিকেট কেন্দ্র সরকারের সংস্থা দেয়। আমরা এটা চেক করিনা যে, মাংস হালাল, না নন হালাল।” কোম্পানি আরও লেখে, এফএসএসআই সার্টিফিকেট রেস্তোরাঁর জন্য অনিবার্য, কিন্তু হালাল এর সার্টিফিকেট অনিবার্য না। এটিকে স্বেচ্ছায় নেওয়া হয়।