বাংলাহান্ট ডেস্ক: লকডাউনের স্মৃতি অনেক আগেই ভুলেছে সবাই। পরিযায়ী শ্রমিকরাও ফিরে গিয়েছে নিজেদের কাজে। কিন্তু এখনো কেউ সোনু সূদের (Sonu Sood) সাহায্য চেয়ে আবেদন করলে খালি হাতে ফেরত যাননি। দরিদ্র, অসহায়দের সাহায্যের জন্য সবসময়ই এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে সোনুকে। এবার পটনার গ্র্যাজুয়েট চায়েওয়ালির সাহায্যের আবেদনে সাড়া দিলেন তিনি।
বিহারের পটনার বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা গুপ্তা। তবে গ্র্যাজুয়েট চায়েওয়ালি নামেই বেশি পরিচিত তিনি। ইকনমিক্সে গ্র্যাজুয়েশন করার পর দু বছর ধরে কাজের খোঁজে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা। শেষে পটনার ওমেনস কলেজের কাছে একটি চায়ের দোকান খোলেন তিনি। নাম দেন গ্র্যাজুয়েট চায়েওয়ালি।
কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর দোকানটি তুলে দেওয়া হয়। বেআইনি ভাবে দোকান দেওয়ার অভিযোগে প্রিয়াঙ্কার চায়ের দোকানটি তুলে দেওয়া হয় পটনা পৌরসভার তরফে। কিন্তু প্রিয়াঙ্কার পালটা অভিযোগ, আশেপাশে অনেক বেআইনি ব্যবসাদার থাকলেও তাঁর দোকানটিই তুলে দেওয়া হয়েছে। অবিচারের অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ক্ষুব্ধ প্রিয়াঙ্কা বলেন, তিনি ভেবেছিলেন বিহারে ভিন্ন কিছু করে দেখাবেন। কিন্তু ও রাজ্যে মনে করা হয় মেয়েদের জায়গা শুধু রান্নাঘরে। তারা শুধু ঘরের কাজ করবে, তারপর বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি চলে যাবে। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, অনেক বেআইনি ব্যবসাই হচ্ছে আশেপাশে। সেদিকে কারোর নজর নেই। কিন্তু একটা মেয়ের উন্নতি কেউ সহ্য করতে পারে না।
ভিডিওটি রিটুইট করে সোনু লিখেছেন, ‘প্রিয়াঙ্কার চায়ের দোকানের জন্য জায়গার বন্দোবস্ত হয়ে গিয়েছে। এবার প্রিয়াঙ্কাকে ওখান থেকে কেউ সরাতে পারবে না। বিহারে এসে খুব তাড়াতাড়ি আপনার হাতের চা খেতে হবে। জয় হিন্দ!’