ভাতের জন্য এবার ভারতের কাছে হাত পাতছে চিন, করুন অবস্থায় পড়তে হল জিনপিং সরকারকে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পর্ক একদম তলানিতে। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারত ব্যবসায়িক দিক থেকে চিনকে একেবারে কোণঠাসা করতে শুরু করেছে। ভারতে চিনা কোম্পানিগুলির কার্যত মাছি মারার দশা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শতাধিক চিনা অ্যাপ। ফলে প্রভুত ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ড্রাগনের দেশকে। এখন এমন অবস্থা, শেষমেশ ভারতের কাছেই ‘হাত পাততে’ হচ্ছে চিনকে।

আসলে ভারতের মতোই চিনেও অন্যতম প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু সেখানে যে পরিমাণ ভাত খাওয়া হয়, সেই পরিমাণ ধান উৎপাদন করা হয় না। ফলে চালের জন্য অন্য দেশের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় চিনকে। তারাই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪০ লাখ টন চাল আমদানি করে। অন্যদিকে, ভারত বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চাল রপ্তানি করে।

কিন্তু শেষ ৩০ বছর ধরে ভারত থেকে চাল আমদানি করত না চিন। সেখানের কমিউনিস্ট সরকার মূলত ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, পাকিস্তানের থেকে চাল আমদানি করত চিন। ভারতের চালের মান নাকি ভাল না, এই দাবি তুলে ভারত থেকে চাল আমদানি তারা বহু আগে বন্ধ করে দিয়েছিল।

কিন্তু এখন চিনকে যেসব দেশ চাল রপ্তানি করত তাদের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। ফলে তারা আর আগের মতো চাল চিনকে পাঠাচ্ছে না। পাঠালেও সেই চালের দাম অনেক বেশি। ফলে মহা ফাঁপরে পড়ে গিয়েছেন শি জিংপিংয়ের সরকার। তাই বাধ্য হয়েই ভারতের সামনে হাত পাততে হয়েছে চিনকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ টন ভাঙা চাল কেনার চুক্তি করেছে চিন। তার বদলে ভারতকে ৩০০ ডলার প্রতি টন দেবে চিন। এই প্রসঙ্গে ভারতের চাল রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান বিভি কৃষ্ণরাও জানান, ‘তিন দশক পর ভারত থেকে চাল কিনতে চিন। ভারতীয় চালের গুণমান দেখে তারা আরও চাল কিনতে পারে।’


সম্পর্কিত খবর