বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ব্যারাকপুরের পর এবার মালদহ (Malda)। ভরসন্ধেয় গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। মালদহের চাঁচলে সোনার দোকানে (Gold Shop) দুষ্কৃতীদের দুঃসাহসিক ডাকাতি৷ ঘটনার জেরে চললো গুলি, দেদার বোমাবাজি। পরে সেই ডাকাত (Robber’s) দলকে বাধা দিতে গিয়ে বোমার আঘাতে প্রাণ গেল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic Volunteer)৷ পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হন দোকান মালিক-সহ আরও ৩ জন। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছিল? স্থানীয় সূত্রের জানা গিয়েছে চাঁচোলের মালতীপুরে দুর্গা মন্দিরে পাশে চাঁচোলেরই বাসিন্দা গৌতম সেনের ‘সেন জুয়েলার্স ’। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাইকে চেপে ওই সোনার দোকানে সামনে হানা দেয় আটজন ডাকাতের একটি দল। এরপরেই দোকানে ঢুকে চলে লুঠপাট৷
দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গেলে তাদের চালানো গুলিতে আহত হন দোকানের মালিক গৌতম সেন। গৌতমবাবুর পায়ে গুলি লাগে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে খবর ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার সিভিক ভলান্টিয়ার মমিনুল হক। বাঁধা দিতে গেলে তখন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা৷ বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারের৷
ভয়াবহ এই ঘটনার পর এলাকায় যান মালদহের পুলিশ সুপারও৷ বিশাল পুলিসবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু। সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান শুনে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে এলাকায় চলছে পুলিশের নাকা চেকিং।
অন্যদিকে, আহতদের ভর্তি করা হয়েছে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। প্রসঙ্গত, কিছুমাস আগেই ব্যারাকপুরেও ভরসন্ধ্যায় এই একই ভাবে একটি সোনার দোকানে ডাকাতের দল তাণ্ডব চালায়৷ সেই সময় ডাকাতদের হাতে প্রাণ যায় দোকান মালিকের ছেলের।