আজ তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে সবথেকে বড় দিন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বেশ ঘটা করে আজকের দিন পালন করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। লোক বাড়ানোর জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। কিন্তু এবছরের শহীদ সমাবেশে তৃণমূলের চিন্তা লাগাতার বেড়েই চলেছে। কারণ অনান্য বছরের তুলনায় এবছরে লোক হওয়া নিয়ে সংশয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব।
গত লোকসভা ভোটে উত্তর বঙ্গে তৃণমূলের ভরাডুবির ফলে সেখান থেকে এবার ২১-র সভায় লোকের সমাগম বেশি হচ্ছে না। আরেকদিকে জঙ্গলমহলে তৃণমূলের শক্তি অনেক কমেছে। ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় আসার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করা হলেও, লোক পাওয়া যাচ্ছেনা। শিয়ালদহ স্টেশনে ২০০ টি বাসের ব্যাবস্থা করা হলে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৫-৩০ টি বাসই রওনা দিয়েছে। আর তাঁর মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হচ্ছে, এবার ২১ এ জুলাইয়ের সমাবেশে উপস্থিত থাকছেন না তৃণমূলের সাত বিধায়ক।
সাত জনের মধ্যে পাঁচ জন বিধায়ক নোয়াপাড়ার সুনীল সিং, লাভপুরের মনিরুল ইসলাম, বনগাঁ উত্তরের বিশ্বজিৎ দাস, বীজপুরে শুভ্রাংশু রায়, কালচিনির উইলসন চম্পামারি ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। আর দুজন বিধায়ক হলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র বেহালা পূর্বের বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবং বিধাননগর পুরসভার সদ্য পদত্যাগী মেয়র ও রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই তৃণমূলে ভাঙন শুরু হয়েছে। আর ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর এটাই তৃণমূলের প্রথম বড় র্যালি। আর এই র্যালিকে সাফল্যমণ্ডিত করতে তৎপর তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু সবার মুখে দিনের শেষে একটাই প্রশ্ন, লোক হবে তো?