বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ধর্ষণ করে খুন! মালদহের কালিয়াচকে (Malda Kaliachak) নাবালিকার মৃত্যু রহস্যের সমাধান করল পুলিশ। এলাকাবাসীর জল্পনাই সঠিক। ঘটনার ৯ ঘন্টার মধ্যে কিনারা করল পুলিশ। ধর্ষণ (Rape) করেই খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকা ছাত্রীকে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব।
ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে মালদহ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ধর্ষণ করার পর ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে নির্মল ভাবে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। এদিন পুলিশ সুপার জানান, “পুলিশের জেরায় দুই যুবকের একজন খুনের কথা স্বীকার করেছে। জানায়, ন’দিন আগে ফোন মারফত ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। মঙ্গলবারই তাদের প্রথম দেখা হয়। শারীরিক সম্পর্কও হয়। এরপর ওই ছাত্রী বিয়ের কথা বলায় বচসা বাধে। তখন গলায় ওড়না জড়িয়ে ওই ছাত্রীকে সে খুন করেছে।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অজ্ঞাত পরিচয় ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হতেই শোরগোল পরে যায় গোটা রাজ্যে। মালদহ, গাজোল, কালিয়াচক ও ইংরেজবাজার থানার আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম গড়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে নেমেই মালদহ থানা থেকে প্রাপ্ত কিছু তথ্য প্রমাণের সূত্র ধরে দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এরপরেই স্পষ্ট হয় সমস্ত বিষয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ নামের ওই যুবক বিবাহিত। বাড়িতে বউ ছাড়াও দুই সন্তান রয়েছে তার। মঙ্গলবার যেখান থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় সেই এলাকাতেই যুবকের বাড়ি। প্রসঙ্গত, মালদার কালিয়াচক থানার আকুন্দবাড়ীয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর গ্রামে চাষ করা ঝিঙ্গার জমি থেকে এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মঙ্গলবার সকালে।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াচক থানার পুলিশ।নাবালিকার বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। স্থানীয়রা সকালে প্রথমে নাবালিকার মৃতদেহ চাষের জমিতে দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। কালিয়াচক থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মেয়েটির পোশাক ও সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে দেখে স্কুলছাত্রী বলে অনুমান করেন বাসিন্দারা।