বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) ফল ঘোষণার পর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক মহল। INDIA জোটের বৈঠক বাতিল হওয়ার পর এবার সামনে এল ১০ জন বিজেপি (Bhartiya Janta Party) সাংসদের ইস্তফা দেওয়ার খবর। এইদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠকের পরই ইস্তফা দাখিল করেন এই ১০ জন সাংসদ।
উল্লেখ্য, ইস্তফা দেওয়া এই ১০ সাংসদই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল মার্জিনে জয় পেয়েছেন। এবং ১০ জন সাংসদের মধ্যে ৫ জন মধ্যপ্রদেশ, ৩ জন রাজস্থান ২ জন ছত্তিশগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে জয়ী হয়েছেন। তালিকায় রয়েছে নরেন্দ্র সিং তোমার, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেলের মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম। এছাড়াও রাকেশ সিং, উদয় প্রতাপ, রিতি পাঠক, অরুণ সাও, গোমতি সাই, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, দিয়া কুমারি, কিরোদিলাল মিনা-র মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতা নেত্রীরাও রয়েছেন এই দলে। উল্লেখ্য, এইদিন যোগী বালকনাথ এবং রেনুকা সিং অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর।
আসলে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এই ১০ সাংসদ। মূলত জাতীয় রাজনীতি থেকে সরে এসে এবার সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্ব নেওয়াতেই বেশি আগ্রহী তারা। যদিও তাদের ইস্তফার খবর সামনে আসার পর থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ চব্বিশের ভোটের আগেই এতগুলি সাংসদ পদ খালি হয়ে যাওয়া মানে আবার এক উপনির্বাচনের ধাক্কা।
আরও পড়ুন : হাওড়া ঢোকার মুখে লাইনচ্যুত ট্রেন, আতঙ্কে যাত্রীরা! ব্যাহত রেল পরিষেবা, কখন হবে স্বাভাবিক?
এবং লোকসভা ভোটের আগে এই উপনির্বাচন বিজেপির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হতে পারে বলে ধারণা। নতুন নির্বাচনে খালি পদগুলিতে কোনও নতুন মুখ এনে সকলকে চমকে দিতে পারে বিজেপি__অন্তত রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা তো এমনটাই মনে করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসন্ন ভোটের আগে স্ট্র্যাটেজি বদলে সাংসদদের জাতীয় রাজনীতি থেকে সরিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়ে এল বিজেপি।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে ফের খতম ভারতের শত্রু! আততায়ীর গুলিতে ঝাঁঝরা CRPF কনভয়ে হামলার মাস্টারমাইন্ড
এদিকে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের একচেটিয়া জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে চলছিল বিস্তর জল্পনা। বিজেপির তরফ থেকে এখনও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে গোপন সূত্রে খবর, গেরুয়া শিবিরের অন্তরমহলে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নামে নাকি সিলমোহর পড়ে গিয়েছে। সেই সাথে উপমন্ত্রীদের নামও নাকি চূড়ান্ত। এবং সেই তালিকায় যে এই ১০ জন ইস্তফা দেওয়া সাংসদের নাম নেই সেকথাও হলফ করে বলা যাচ্ছেনা। তবে এর মধ্যে দুই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে মহিলা নাম থাকার সম্ভাবনাও প্রবল।