বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) অবশেষে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অন্তত সিবিআই (CBI) সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। গত সপ্তাহেই নাকি সিবিআইয়ের দুই আধিকারিক আসানসোল সংশোধনাগার ঘুরে গিয়েছেন। এবার অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে বলে খবর। সেই টাকার বিষয়ে তল্লাশি করতেই বোলপুরে এসে পৌঁছলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, অনুব্রত ও তার ঘনিষ্ঠদের বেসরকারি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকা জমা পড়েছে।
জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যায় বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। এখানেই বোলপুরের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই মুহুর্তে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর। কারা কত টাকা কার অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছিল তা খতিয়ে দেখতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি, আগামিকালও ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসবাদ করবে সিবিআই। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ নভেম্বর আসানসোল সংশোধনাগারে আসে সিবিআইয়ের একটি বিশেষ দল। পরদিনই অসুস্থ বোধ করার আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক কিরীটি নায়ক জানা, ‘বুকে অস্বস্থি বোধ করায় উনি এসেছিলেন। ওঁর ইসিজি হয়েছে। তাতে কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। অন্যান্য মেডিসিন ও সার্জারির চিকিৎসকরাও অনুব্রতবাবুকে দেখেছেন। তেমন খারাপ কিছুই পাওয়া যায়নি। ব্লাড প্রেসার, সুগার স্বাভাবিক রয়েছে। আগে থেকে যেসব ওষুধ খেতেন তা খাচ্ছেন। সবেমিলিয়ে বলা যায় এখন মোটামুটি ঠিকই রয়েছেন অনুব্রত।’
আসানসোল জেলা সংশোধনাগারে সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের সঙ্গে ছিলেন গোরুপাচারকাণ্ডে তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য ও তাঁরই এক সহযোগী। এদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন তাঁরা। গোরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার কার্যকলাপ শুরু করেছে সিবিআউ। তার মধ্যেই আজ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আসেন সিবিআই এসপি রাজীব মিশ্র। তিনি দেখা করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সঙ্গে। সব মিলিয়ে অনুব্রত মন্ডলকে দিল্লি নিয়ে কাজ জোরকদমেই চলছে।