বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি রাজ্যে প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ হয়ে থাকা ‘মহাত্মা গান্ধীর রুরাল এমপ্লয়মেন্ট প্রকল্প’ (১০০ দিনের কাজ) 100 Days Work নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১ অগস্ট থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প চালু করতে হবে বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে (100 Days Work) অনিয়মের অভিযোগ তুলে টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। এতদিন পর যখন এই ইস্যুতে জট খুলতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে তখনই ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় তোলপাড় মালদার সিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
ঠিক কী ঘটেছে? 100 Days Work
আদালত সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত প্রধান দুর্নীতি স্বীকার করেছেন। তার দাবি, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা পাঠানো হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্টে। প্রকল্পের বাস্তবায়নেও প্রচুর টাকার অপব্যবহার করা হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই গোটা বিষয় সামনে এসেছে। এদিকে খোদ পঞ্চায়েত প্রধান আদালতে দুর্নীতির কথা স্বীকার করতেই পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব অর্থ উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী বলেন, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সিরপুরে একশো দিনের কাজের টাকা নিয়ে চলেছে দেদার দুর্নীতি হয়েছে। গরমিলের পরিমাণ, অন্তত ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্পষ্ট যৌনাঙ্গে ক্ষত, গলায় কামড়ের দাগ! কসবা কাণ্ডে নির্যাতিতার হাড়হিম করা মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এল
উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম মত, ১ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের প্রকল্পে টেন্ডার ডাকা বাধ্যতামূলক। এদিকে এখানে দেখা যাচ্ছে, কারচুপি করতে ১০ লক্ষ বা তারও বেশি টাকার প্রকল্পকে ইচ্ছে করেই ছোট দেখানো হয়েছে। আদালতে পুলিশ জানিয়েছে, প্রকল্পের নামে যে টাকা নয়ছয় হয়েছে, সেই অর্থ উদ্ধারে পঞ্চায়েত প্রধান সহযোগিতা করছেন।