বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের (Government) তরফে প্রায়শই বিভিন্ন জনহিতকর ঘোষণা করা হয়। যেগুলির মাধ্যমে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হন জনগণ। এদিকে বর্তমান সময়ে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সরকারের তরফে একাধিক ঘোষণা করা হচ্ছে। সেই রেশ বজায় রেখেই রাজ্যবাসীর মন জয় করতে বড় ঘোষণা করলেন ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ওড়িশায় লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সম্পন্ন হবে বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে গত সোমবার ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ওই রাজ্যের প্রতিটি রেশন হোল্ডারকে এককালীন ১,০০০ টাকা অর্থ সাহায্য প্রদান করা হবে। পাশাপাশি, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ঋণ সাহায্যের ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের তরফে রাজ্যের তরুণদের ১ থেকে ২ লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। সেই ঋণের ওপর অবশ্য কোনো সুদ দিতে হবে না ঋণ গ্রহীতাদের। এর ফলে সরকারের থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ব্যবসা চালু করতে পারবেন রাজ্যের তরুণ বেকাররা। পাশাপাশি ন্যাশানাল ওল্ড এজ পেনশন স্কিম সহ ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল উইডো পেনশন স্কিম ও মধুবাবু পেনশন যোজনার ক্ষেত্রে মাসিক ভাতার পরিমাণ এবার বৃদ্ধি করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার ইতিহাস তৈরি করলেন মুকেশ আম্বানি! দেশের প্রথম ২০ লক্ষ কোটি টাকার কোম্পানি হল রিলায়েন্স
এমতাবস্থায়, প্রতি মাসে এই বার্ধক্য ভাতা ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে লাভবান হবেন ওড়িশার ৫৬ লক্ষ মানুষ। পাশাপাশি, নতুন এই ঘোষণার জেরে ওড়িশা সরকারের ৩,৬৮৩ কোটি টাকার অতিরিক্ত খরচ হতে পারে। জানিয়ে রাখি যে, ২০১৯ সালের ভোটের আগেও নবীন পট্টনায়ক ভাতা বৃদ্ধির পথে হেঁটেছিলেন। সেই রেশ বজায় থাকল এবারেও।
আরও পড়ুন: চিনের থেকে ঋণ নেওয়াই হল কাল! চরম সঙ্কটে থাকা মলদ্বীপ হতে চলেছে পরবর্তী শ্রীলঙ্কা, সতর্ক করল IMF
কত টাকা মিলবে: ৬০ বছর থেকে ৭৯ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যক্তিরা ন্যাশনাল ওল্ড এজ পেনশন স্কিমের আওতায় প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। এদিকে, ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা পান ১২০০ টাকা করে। মধুবাবু পেনশন যোজনা চালু হয় ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে। যেখানে ৬০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী পর্যন্ত ব্যক্তিরা পেনশন হিসেবে পান ১০০০ টাকা করে। এর পাশাপাশি বিধবারা এবং কুষ্ঠ রোগী থেকে শুরু করে এডস রোগী এবং যাঁদের দৃষ্টিশক্তি কম ও যারা স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন না তাঁরা ১০০০ টাকা করে পান।