বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুরু হল মাজার ভেঙে ফেলার অভিযান। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) অবৈধ মাজার ভেঙে ফেলার কথা ঘোষণা করেন দিন দশেক আগেই। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে অবৈধ মাজারগুলো ভেঙে ফেলা হবে। তিনি ওই ঘটনাকে ‘ল্যান্ড জিহাদ’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যে ল্যান্ড জিহাদ চলবে না বলে দাবি করেন।
উত্তরাখণ্ডে এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মাজার চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলো অবৈধভাবে বন বিভাগ বা সরকারের অন্যান্য জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছিল বলে দাবি। এবং এরই মধ্যে ১০২টি মাজার সরকারের পক্ষ থেকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসব মাজারে মৃত ব্যক্তির দেহাবশেষ নেই বলেও চাঞ্চল্যকর দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী ধামি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুষ্কর সিং ধামি বলেন, ‘গঙ্গা নদীর আশেপাশে অসংখ্য মাজার তৈরি হয়েছে। আমরা দখলদারদের নিজেদের দখল সরিয়ে নিতে বলেছি, না হলে সরকার তাদের সরিয়ে দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে দখল বন বিভাগের জমিতে হোক বা গণপূর্ত দফতর বা রাজস্ব দফতরের জমিতে হোক না কেন, তা সেসব লোকদেরই সরিয়ে নিতে হবে। উত্তরাখণ্ডের মধ্যে এই ‘ল্যান্ড জিহাদকে মেনে নেওয়া হবে না।’
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, এগুলো কোনো পীর বাবাদের মাজার নয়, বরং মাজার জিহাদের একটি অংশ। প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বরে, রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতৃত্বাধীন ধামি সরকার রাজ্যে ধর্মান্তর বিরোধী আইনকে আরও কঠোর করেছে এবং জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণের দোষীদের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত শাস্তির কঠোর বিধান কার্যকর করেছে।
উত্তরাখণ্ড ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনে জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণে দোষী প্রমাণিত হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ছাড়াও সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান করা হয়েছে। এছাড়া দোষী অপরাধকারী ব্যক্তিকে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেওয়া হবে