এ কি কাণ্ড! রেল স্টেশনে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ হাজার খানেক যাত্রীর! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) দৌলতে বিশ্বের কোন প্রান্তে কি ঘটনা ঘটছে তা এক মুহূর্তেই জানতে পেরে যাই আমরা। শুধু তাই নয়, নেটমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিনই ভাইরাল হতে থাকে হাজার হাজার ছবি, পোস্ট এবং ভিডিও। তবে সেগুলির মধ্যে এমন কিছু পোস্ট বা ভিডিও সামনে আসে যেগুলি দেখার পর রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের। বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক ভিডিওর প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যেটি দেখার পর অবাক হয়ে যাবেন আপনিও।

মূলত আমরা যে ভিডিওটির বিষয়ে জানাচ্ছি সেখানে দেখা গিয়েছে একটি রেল স্টেশনে প্রায় ১,০০০ জন মানুষ কুকুরের মতো ডাক দিচ্ছেন। প্রথমে বিষয়টি জেনে অবাক হয়ে গেলেও ঠিক এইরকমই এক ঘটনা ঘটেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জার্মানির রাজধানী বার্লিনে পটসডেমার প্লাতজ রেল স্টেশনে প্রায় ১,০০০ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন এবং তারপরে তাঁরা কুকুরের মতো আচরণ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা রীতিমতো “ঘেউ ঘেউ” করতেও শুরু করেন। ওইভাবেই একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই এহেন দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যেকেই অবাক হয়ে যান।

কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করেন সবাই: ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটি তুমুল ভাইরাল হতে শুরু করেছে নেটমাধ্যমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ওই সময়ে সেখানে কুকুরের মতো ডাকতে শুরু করা প্রত্যেকেই কুকুরের মুখোশ পরেছিলেন। তাঁদের হাবভাব দেখে স্পষ্ট মনে হয়েছে যে, তাঁরা কুকুরের অঙ্গভঙ্গিকেই অনুকরণ করছেন।

আরও পড়ুন: “ভারতের জন্য গর্বিত; তারা অপরিণত কাজ করে না”, কানাডার মুখে ঝামা ঘসে বড় বয়ান বাংলাদেশের

কেন তাঁরা কুকুরের মতো আচরণ করলেন: এদিকে, এই অবাক করা ভিডিওটি প্রত্যক্ষ করে সকলেই জানতে চেয়েছেন যে কেন তাঁরা এমন আচরণ করলেন? এই প্রসঙ্গে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁরা জানিয়েছেন ওই ব্যক্তিরা নিজেদের মানুষের মতো অনুভব করেন না। বরং, তাঁদের নিজেদের কুকুরের মতো মনে হয়। আর ওই ধরণের মানুষেরাই স্টেশনে দেখা করার জন্য এত বড় জমায়েত করেন।

আরও পড়ুন: কানাডার সঙ্গে বন্ধুত্বে ফাটল ধরলে কতটা ক্ষতি হবে ভারতের? পরিসংখ্যান দেখে অবাক হবেন

মানুষ হয়ে গেল কুকুর: উল্লেখ্য যে, কিছুদিন আগে জাপান থেকেও ঠিক এইরকমই একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। সেখানে টোকো নামের এক ব্যক্তি কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে কুকুর হয়েছিলেন। টোকো বলেছিলেন যে, তিনি কুকুরের মতো জীবন পছন্দ করেন। কুকুর হওয়া তাঁর স্বপ্ন ছিল এবং তিনি তা পূরণ করেছেন। মূলত, টোকো এর জন্য একটি বিশেষ পোশাক তৈরি করেছিলেন এবং এটি পরা অবস্থায় তাঁকে কুকুরের মতো দেখতে মনে হতো।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর