বাংলা হান্ট ডেস্ক – সম্প্রতি দেশে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯ জন বিদ্বজ্জন।
এই চিঠিতে সাক্ষর করেছিলেন খ্যাতনামা চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, মনিরত্নম শ্যাম, বেনেগাল অনুরাগ কাশ্যপ, আদূর গোপাল কৃষ্ণ, কৌশিক সেন, সুমন ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, ও রুপম ইসলামের মতো ব্যক্তিত্বরা। সেই চিঠির বিরোধিতা করে পাল্টা চিঠি লেখে ৬১ জন।এবং ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মধুর ভান্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রী, প্রসুন যোশীর মতন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
এবার দেশে বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতা ও গণপিটুনির দায় প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠি নিয়ে ওই ৪৯ জন বিদ্বজ্জনের বিরুদ্ধে সরব হলো হিন্দু মহাসভা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রক্ত দিয়ে ১০১ টি চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ই ৪৯ জন বিদ্বজ্জনের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানাল এই সংগঠন।
ওই চিঠিতে ৪৯ জন “বিশ্বাসঘাতক” বলে উল্লেখ করেছে অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভা এবং এদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা করতেও চেয়েছে অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভা।
অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার অভিযোগ, এই ৪৯ জন ব্যক্তি আসলে দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যুক্ত দেশের ক্ষতি করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। এবং এদের মধ্যে যারা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তাদের পুরস্কার কেড়ে নেওয়ারও দাবিও জানিয়েছে এই সংগঠন।
এই প্রসঙ্গে হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র অশোক পান্ডে বলেন, ” মুসলিম ও দলিত দের সাথে হয়ে যাওয়া কয়েকটি ঘটনাকে গণপিটুনির নাম দিয়ে দেশের মানহানি করার চেষ্টা করছে।
এই ধরনের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এখনই বন্ধ হওয়া দরকার এবং যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদেরও উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত।
মানব প্রকৃতি ও মানব অধিকারের নামে এরা সংখ্যালঘু ও দলের নেতা হওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু কাশ্মীরে যখন হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে সন্ত্রাসীদের হামলায় হিন্দুদের রক্ত ঝরছে তখন এরা চুপ থাকছে।আসলে এরা ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করার চেষ্টা করছে।” এখন দেখার বিষয় রক্তে লেখা চিঠি পেয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রী।