বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে, জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। কিন্তু, তাই বলে মরা মানুষ যদি বেঁচে ওঠেন তাহলে কী সেটা সত্যিই বিশ্বাসযোগ্য ? আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন এমন অবিশ্বাস্য ঘটনা আদৌ কী ঘটতে পারে ? তবে, আপনাদের সবাইকে করে দেওয়ার মত এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে। উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ম্যাঙ্গালোর (Mangalore) অঞ্চলের নারসান খুর্দ গ্রামে একজন বয়স্ক মহিলা মারা (Dead) গিয়েছিলেন, যার শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল। আত্মীয়-স্বজনরাও শেষকৃত্যের জন্য পৌঁছেছিলেন, কিন্তু আচমকা মৃতের শরীরে নড়াচড়া দেখে সবাই অবাক। কেউ তাদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, কিন্তু মৃত বৃদ্ধ মহিলা যখন তার চোখ খুললেন তখন উপস্থিত সকলের আনন্দের সীমা ছিল না।
আজ আমরা আপনাদের এমন এক ঘটনার কথা জানাব যা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। ঘটনাটি ম্যাঙ্গালোর কোতোয়ালি এলাকার, যেখানে একটি গ্রামে এই অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। বিনোদের 102 বছর বয়সী মা জ্ঞান দেবী, ম্যাঙ্গালোর অঞ্চলের নরসান খুর্দের বাসিন্দা। কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।
খবর পাওয়া গেছে, হঠাৎ বৃদ্ধা অজ্ঞান হয়ে গেলে স্বজনরা ডাক্তার ডাকেন। চিকিৎসক তদন্ত শেষে ওই বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবরের পর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। বৃদ্ধার ছেলে তাদের সকল আত্মীয়কে মার মৃত্যুর খবর জানায়, পরে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা তার বাড়িতে জড়ো হয়।
মহিলার শেষকৃত্যের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া সময় হঠাৎ তার শরীরে কিছু নড়াচড়া অনুভূত হয়। প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দিলে তিনি চোখ খুলে তাকান। মহিলাটি আগের মত কথা বলতে শুরু করেন। মহিলার নাতি জানিয়েছেন যে তাঁর দিদা প্রায় সাত ঘন্টা আগে মারা গিয়েছিলেন। এরপর তিনি হঠাৎ নড়াচড়া শুরু করেন এবং বাড়িতে আনন্দের পরিবেশ তৈরি হয়। বিনোদ বলেছেন যে তার মা শুধু পরিবারেরই নয়, পুরো গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা।