বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে যে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য ১১০ জন বিধায়ক BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন৷ জানা গেছে এই বিধায়কদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল৷ কয়েকজন কংগ্রেস ও CPI(M)-রও রয়েছেন৷ গতকাল বিজেপি নেতা মুকুল রায় এমনই কথা বলেন৷ শুধু তাই নয় এদিন ভাটপাড়া ইস্যু নিয়েও মুখ খোলেন মুকুল, তিনি বলেন, “একজন তৃণমূল কাউন্সিলরও স্বেচ্ছায় তৃণমূলে যাচ্ছেন না৷ সব ভয়ে যাচ্ছেন৷ পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে৷ কিন্তু সামনেই নির্বাচণ৷ ভাটপাড়া বোর্ড এখনও পর্যন্ত BJP-রই আছে৷”
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ভালো ফল পায় বিজেপি, তারপর থেকেই তৃণমূলের হাত থেকে একের পর এক পৌরসভা ছিনিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয় দলে দলে তৃণমূল কাউন্সিলর যোগ দিতে শুরু করেন বিজেপিতে। কিন্তু এই ঘটনার আমেজ বেশিদিন থাকে না খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দলত্যাগী কাউন্সিলররা আবার তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন। এমনভাবেই পূর্বে হাতছাড়া হয়ে যাওয়া পৌরসভাগুলো, একের পর এক ফিরিয়ে আনতে থাকে তৃণমূল। হালিশহরের পর মুকুল রায়ের খাসতালুক নৈহাটি পুরসভাও বুধবার আস্থা ভোটে জিতে ছিনিয়ে নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বর্তমানে ঘাসফুল শিবির এবার লক্ষ্য করেছে অর্জুন সিংয়ের গড় ভাটপাড়া পুরসভা।
কিন্তু কয়েকদিন আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল ভাটপাড়ার ৩৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ জন লুকিয়ে চুরিয়ে নিজেদের যোগাযোগ বজায় রাখছেন তৃণমূলের সঙ্গে। ছরপর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ভাটপাড়া পুরসভা সংলগ্ন প্রেমচাঁদ শতবার্ষিকী হলে তৃণমূল কর্মীদের কে সাথে নিয়ে বিজয়া সম্মেলনের আনন্দ অনুষ্ঠানে মহিত হন।
সেখানেই জ্যোতিপ্রিয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সঠিক সময়ের অপেক্ষা করুন, আবার সব পুরসভা তৃণমূলের দখলে চলে আসবে। ভাটপাড়া পুরসভার ৩৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২১ জন যোগাযোগ রাখছে। খুব শিগগিরই কাগজপত্র তৈরি হবে তারপরেই অনাস্থা আনব আমরা। আগামী নভেম্বর মাসেই এই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারি। মানুষ সব সময় আমাদের পাশে আছে। যারা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা এখন নিজেদের ভুল স্বীকার করছেন। দলের নীতি আদর্শ বড় বিষয়।’
এদিন অর্জুন সিংয়ের খাসতালুকে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দেন জ্যোতিপ্রিয়, তিনি বলেন, ‘ভাটপাড়া পুরসভাও আমাদের দখলে আসবেই। অর্জুন সিং যেখানে বলবে সেখানেই আমরা আস্থা ভোট করতে রাজি। সর্বসমক্ষে আস্থা ভোট করতেও আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মানুষ কাদের পাশে আছে।’