বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গুজরাটের (Gujrat) সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় একের পর এক মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসে চলেছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ইতিমধ্যেই ১৩২-এ পৌঁছেছে। এর মধ্যে রয়েছে গুজরাটের এক বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সাংসদের পরিবারের মোট ১২ জন সদস্য। উল্লেখ্য, বারো জন মৃতের তালিকায় ৫ জন শিশু রয়েছে।
অথচ এই পরিস্থিতিতেও নিজের দায়িত্ব পালনে তৎপর বিজেপি সাংসদ। শোকের ছায়া কাটিয়ে ওঠে গুজরাটবাসীর উদ্দেশ্যে তাঁর আশ্বাস, “প্রশাসন যতটা সম্ভব, চেষ্টা করে চলেছে। সবাইকে সব রকম ভাবে সহায়তা করা হবে।”
উল্লেখ্য, গুজরাটের মচ্ছু নদীতে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। একের পর এক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২। তার মাঝেই রাজকোটের বিজেপি সাংসদ মোহনভাই কল্যানজি কুন্দরিয়ার পরিবারের মোট ১২ জনের মৃত্যু ঘিরে শোকস্তব্ধ সকলেই।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় আমার পরিবারের মোট ১২ জনের প্রাণ গিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পাঁচ জন শিশু। আমার বোনের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি।” যদিও শোকের ছায়া কাটিয়ে উঠে নিজ দায়িত্ব পালনে তৎপর বিজেপি নেতা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন এবং এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-র তরফ থেকে কাজ করা হয়ে চলেছে। মৃতদেহ উদ্ধার করার পাশাপাশি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরই তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “উদ্ধারকার্যে যুক্ত হয়েছেন অনেক মানুষ। এখনো উদ্ধারকার্য করা হয়ে চলেছে। কি করে ঘটনা ঘটলো, তা তদন্ত করে দেখা হবে।”
এক্ষেত্রে মৃত এবং আহতদের পরিবারদের সহায়তা করার পাশাপাশি ইতিমধ্যে ব্রিজ দেখাশোনা করার দায়িত্বে থাকা সংস্থার বিরুদ্ধে গণহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছে প্রশাসন। এই ঘটনায় নয়জনকে আটক করার পাশাপাশি শোক প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে নেপালের প্রধানমন্ত্রীও।