বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই বাবার লালসার শিকার ১২ বছরের কিশোরী কন্যা। সেই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হতেই প্রকাশ্যে আসে এই অপরাধের ঘটনা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই শোরগোল শুরু হয়ে যায় কোচবিহারের (Coochbehar) হলদিবাড়ি (Haldibari) এলাকায়। এখানেই শেষ নয়। ওই ব্যক্তির কুকীর্তির এখনও অনেক বাকি।
স্ত্রী যাতে এই ঘটনার কথা কাউকে না জানান তার জন্য তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি! শুধু তাউ নয়, থানায় অভিযোগ না করার জন্যও প্রতিনিয়ত মেয়েটির মায়ের ওপর চাপ দিতে থাকেন তিনি। এই অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম বর্মনের বিরুদ্ধেও! দীর্ঘদিন দিন ধরে চলা নিজের মেয়ের উপর এই অত্যাচার আর সহ্য করতে পারেননি মা। অবশেষে সাহস জোগাড় করে পুলিসের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা মেয়েটির মা।
অভিযোগ, অনেকদিন ধরেই নিজের বাবার লালসার শিকার হয়ে আসছে ওই নাবালিকা। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই থানায় নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির মা। এরই সঙ্গে, এই ঘটনায় মদত এবং অভিযোগ না করার জন্য মা ও মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় পারমেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম বর্মন সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
কিন্তু এর পর অভিযোগ দায়ের হতেই মেয়েকে নিয়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত বাবা। হলদিবাড়ি থানার পুলিস সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্য উত্তম বর্মনের সঙ্গে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করা করলে তিনি জানান, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নাম কালিমা লিপ্ত করার জন্যই এটা চক্রান্ত করেছে। এই ব্যাপারে আমি নির্দোষ। ঘটনার তদন্ত নেমেছে হলদিবাড়ি থানার পুলিস।