Bangla Hunt Desk: সীমান্ত এলাকায় চীনা সেনারা (Chinese army) সম্প্রতিকালে বারংবার ভারতীয় সেনাদের (indian army) সঙ্গে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। ভারতের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালিয়ে তারা ১৯৬২ সালের স্মৃতিচারণ করাতে চাইছে। কিন্তু ১৯৬২ সালের স্মৃতিচারণ করাতে গয়ে উল্টে চাইনিজ সেনারই তখনকার ভারতের ক্ষমতার কথা স্মরণ করে পিছু হটে যাচ্ছে।
১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধ
১৯৬২ সালের যুদ্ধে লাদাখের চুষুল সেক্টরের ১৩ টি কুমাওন রেজিমেন্টের মেজর শৈতান সিং (Shaitan Singh)-এর অবদান ছিল স্মরণে রাখার মতন। সেইসময় মাত্র ১২০ সৈন্যের সাথে চীনের প্রায় ১২০ হাজার সেনার মোকাবিলা করেছিলেন শৈতান সিং। লাদাখকে চীনের আগ্রাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে নিজের জীবন দিয়ে দিতেও দ্বিতীয় বার ভাবেননি তিনি। তবে সেই যুদ্ধে আজকের দিনের মত আধুনিক এবং উন্নত মানের অস্ত্র শস্ত্র থাকলে, যুদ্ধের পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিত। সূত্রের খবর, শৈতান সিং চার্লি কোম্পানির কমান্ডার ছিলেন এবং সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় চুষুল সেক্টরে ছিলেন তিনি।
ছিল না পর্যাপ্ত পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র
১৯৬২ সালের ১৮ ই নভেম্বর রাতে তুষারপাতের মধ্যেই লাদাখের রেজাঙ্গলায় অতর্কিতেই হামলা চালিয়েছিল চাইনিজ সেনারা। সেইসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে গোলাবারুদ না থাকা সত্ত্বেও,মেজর শৈতান সিংয়ের নেতৃত্বে ভারতীয় বীর জওয়ানরা চাইনিজ সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা চাইনিজ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাকে।
গ্রেনেড টেনে যুদ্ধ চালায় ভারতীয় সেনারা
জেনারেল মোহন চন্দ্র ভান্ডারী বলেছিলেন, যখন ভারতীয় সৈন্যদের কাছে গোলাবারুদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, তখন তারা গ্রেনেড টেনে চীনাদের উপর জোরালো আঘাত হেনেছিল। তবে এই যুদ্ধে মেজর শৈতান সিং সহ চার্লি কোম্পানির ১১৪ জন বীর যোদ্ধা শহীদের ন্যায় মৃত্যুবরণ করলেও ১৩০০ -এরও বেশি চাইনিজ সেনাকে নিকেশ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ভারি তুষারপাতের কারণে তখনই সকল সেনাদের মরদেহ বের করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার দুমাস পর বরফের নীচ থেকে কারো হাতে বন্দুক তো কারো হাতে গ্রেনেড ধারণ করা জওয়ানদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সম্মান জানানো হয়েছে সৈন্যদের
জেনারেল মোহন চন্দ্র ভান্ডারী আরও জানিয়েছেন, ১৩ কুমাউনের সকল বীর শহীদদের স্মরণে চুষুল সেক্টরে একটি বৃহত স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা রয়েছে। ১৩ কুমাওন রেজিমেন্টও রানীখেতেও থাকার কারণে তাঁর স্মরণে ওখানে রেজাংলা ময়দান নির্মান করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে মেজর শৈতান সিংকে মরণোত্তর পরম বীরচক্র সম্মানে সম্মানিত করা হয়।