বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধিকবার আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হল না। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এদিন আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ (Bail Reject) করে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আদালতে সূত্রে খবর, এদিন শুনানির শুরুতেই মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। বিচারকের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এই তদন্ত তো চলতেই থাকবে। ততদিন কি আমার মক্কেল জেল হেফাজতেই থাকবেন নাকি?’ মানিক ভট্টাচার্য এরপর জানান, ‘আমি কোথাও পালাব না। এখানেই থাকব। ইডির (ED) তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।’ কিন্তু এত মিনতির পরও তাঁর আবেদনে মন গলেনি বিচারকের।
এদিন আদালতে পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেব, এখনও পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকার দুর্নীতি সামনে এসেছে। এতে লাভবান হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। উনি তদন্ত বহুদিন ধরে চলার কথা বলছেন। দেখা যাচ্ছে, শেষ ১০ বছরে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। তাই তদন্ত শেষ করতে একটু সময় তো লাগবেই।
এর পাশাপাশি ইডির অভিযোগ, কলা মন্দিরে সমস্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখানে সমস্ত বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজ কর্তৃপক্ষগুলিও হাজির ছিল। তাদের সকলের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হয় পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে। সেখানে বাবার সঙ্গে থাকতেন ছেলেও। সেখানে ওঁর ছেলের সংস্থায় ৫০ হাজার টাকার চেক রয়েছে। এটা তো বেআইনি আয়ের টাকা। সব কিছু শুনে বিচারক আবারও ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত দিলেন মানিক ভট্টাচার্যকে।