বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৪ মাসের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগকে (Minor Child Rape) ঘিরে চাঞ্চল্য ত্রিপুরায়। অভিযোগ, ধর্ষণের পর খুন করে দেহ পুঁতে দেওয়া হয় ধানজমিতে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ অক্টোবর এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার (Minor Child Rape) অভিযুক্ত এক প্রতিবেশী
পুলিশ জানিয়েছে,ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই শিশুকন্যারই প্রতিবেশী। তিনি অসমের শিলচরের বাসিন্দা হলেও ত্রিপুরায় তাঁর মামাবাড়িতে এসেছিলেন কিছুদিনের জন্য। এই সময়ের মধ্যেই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে শিশুটি ভাত খেতে চাইছিল না। তখন অভিযুক্ত খাওয়ানোর নাম করে শিশুটিকে কোলে করে বাইরে নিয়ে যায়।
এরপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও ফেরেনি শিশুটি। সন্ধ্যা নামতেই গ্রামজুড়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা একসঙ্গে শিশুটিকে খুঁজতে বের হন। কিন্তু শিশুকন্যার কোনও খোঁজ না মেলায় রাত আটটা নাগাদ পানিসাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুর বাবা-মা।
ধানজমি থেকে উদ্ধার শিশুর দেহ
পরের দিন সকালে স্থানীয় এক কৃষক ধানজমির পাশে সন্দেহজনক জায়গা দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করে শিশুকন্যার দেহ। প্রাথমিকভাবে দেখা যায়, দেহটি মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয় যে শিশুটি যৌন নির্যাতনের (Minor Child Rape) পর খুন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্তের শাস্তির দাবি তুলেছে।
অসম থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
অপরাধের (Minor Child Rape) পর অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যায় অসমে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরন্তর তল্লাশি চালিয়ে নিলমবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে রবিবার আগরতলার আদালতে পেশ করা হবে। ত্রিপুরা পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন (POCSO Act) এবং খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার দক্ষিণ দমদম, প্রোমোটারকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে
ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুকন্যার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। স্থানীয় মানুষ এমন নির্মম ঘটনায় (Minor Child Rape) অভিযুক্তর চরম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।