বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে জেলবন্দি রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। বহুদিন জামিনের আবেদন করেও মেলেনি সুরাহা। একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকা ঢুকবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্কে। কে পাঠাবে সেই টাকা? শোরগোল আদালতে।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর তিনটি ফিক্সড ডিপোজিটে (FD) মোট পনেরো লক্ষ টাকা ম্যাচিওর হয়েছে। সেই এফডি ম্যাচুরিটির টাকাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে নেওয়ার জন্য গতকাল আদালতে আবেদন করেছেন পার্থর আইনজীবী। জানা গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে তিনটি ফিক্সড ডিপোজিট আছে। যা ২০১৯ সালে করা হয়েছিল। এক একটি ৫-৬ লক্ষ টাকার FD। সেই ম্যাচুরিটির টাকাই পার্থর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নেওয়ার আবেদন জানান তার আইনজীবী।
ওদিকে গতকাল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত পক্রিয়া নিয়ে তদন্তকারী সংস্থার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেছে আদালত। শনিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ভারপ্রাপ্ত বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, বাকি অভিযুক্তদের পেশ করা হয়। এদিন ফের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)।
আরও পড়ুন: শ্রমিক পিছু ১২ হাজার কাটমানি! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে বন্ধই হয়ে গেল কারখানা
শনিবার শুনানির শুরুতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত এজেন্ট বাগদার চন্দন মণ্ডলের যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আইনজীবী বলেন, তিনি বলেন, তার মক্কেল ২৫০ দিনেরও বেশি জেলে রয়েছেন। মিথ্যা কারণ দেখিয়ে প্রভাবশালী বলে দাবি করে বারবার তার জামিন আটকে দিচ্ছে সিবিআই।
পাল্টা জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “একই কারণ দেখিয়ে বারবার জামিনের আরজি করছে। নতুন কোনও কারণ দেখাতে পারছে না।” যদিও একই কারণ দেখিয়ে বারংবার জামিনের আবেদনে ভুল কিছু দেখছে না আদালত।
আরও পড়ুন: আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি থেকে সাবধান! কিছুক্ষণেই তুমুল বর্ষণে ছারখার হবে দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলা
এরপরই এজেন্সির আইনজীবীর ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারক। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীকে সরাসরি তিনি বলেন, ‘আপনি কি আমার অর্ডারটা পড়েছেন? এক এক করে ভুল ধরলে তো কেঁদে কুল পাবেন না। আমি বোকা নই। গত কয়েক দিনের রেকর্ড দেখুন। অ্যাং ব্যাং চ্যাং বাজে বকবেন না।’
এরপরই তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে সেই প্রসঙ্গ তোলেন বিচারক। সিবিআই এর আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “কেস ডায়েরিটা দেখুন। আমাকে বোকা ভাববেন না। কেন আদালতের সময় নষ্ট করছেন? শেষ বারের কেস ডায়েরিটা দেখুন। ” তবে এদিন কারও জামিনের আবেদনই মঞ্জুর হয়নি। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পার্থর জামিনের শুনানি হবে। ওদিকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত ওই ৬ জনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।