বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি চীন ও ভারত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। কিন্তু দুটি পরিসংখ্যানের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। পার্থক্যের কারণ খুঁজতে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। সন্দেহ করা হচ্ছে, চীন থেকে পণ্য আমদানি করে কিছু লোক তাদের ভুয়ো বিল তৈরীর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে কাস্টমস্ বিভাগের তরফে ৩২টি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এরা ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ভুল বিল দেখিয়ে ১৬০০০ কোটি টাকার (16,000 Crore Indian rupee) কর ফাঁকি দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। চীন থেকে এই ব্যক্তিদের দ্বারা আমদানিকৃত পণ্যগুলির মধ্যে বেশিরভাগ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, গ্যাজেট এবং ধাতু অন্তর্ভুক্ত ছিল।
একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা জানান, তদন্তে দেখা গেছে যে যারা চীন থেকে আমদানি করে তারা বিপুল অঙ্কের কেনাকাটার পরে কম টাকার বিল দেখিয়েছে। সাধারণত আমদানিকারকরা শুল্ক বাঁচাতে কম টাকার বিল দেখান। দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে ইলেকট্রনিক পণ্য ও মোবাইল ফোন আমদানিতে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এ কারণে আমদানিকারকরা কর এড়াতে বিলের পরিমাণ কম করে দেখান।
সরকারী তথ্য অনুযায়ী, ভারত এই বছরের প্রথম নয় মাসে চীন থেকে ৭৯.১৬ বিলিয়নের পণ্য আমদানি করেছে। অন্যদিকে চীন সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখান থেকে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৮৯.৯৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য অর্থাৎ উভয় দেশের পরিসংখ্যানে সরাসরি ১০ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই পরিসংখ্যান বছরের পর বছর বাড়ছে।
এদিকে, ২০১৯ সালের তথ্যে দেখা যায় ভারত চীন থেকে ৬৮.৩৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি করেছে যেখানে চীনের মতে ভারতে তারা ৭৪.৯২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। এভাবে দুই দেশের পরিসংখ্যানে ছয় বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য ছিল। ২০২০ সালে এই ব্যবধান ৮ বিলিয়ন এবং ২০২১ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…