বাংলাহান্ট ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আলমোড়ায় সরকারি স্কুলের পাশ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং ফরিদাবাদে টন-কে-টন বিস্ফোরক উদ্ধারের পর গোটা দেশ যখন এখনও আতঙ্কে, ঠিক সেই সময় আবারও মিলল নতুন নাশকতার সূত্র। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলমোড়ার একটি সরকারি হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল পুলিশকে জানান, খেলার সময় স্কুলের কয়েকজন ছাত্র ঝোপের পাশে সন্দেহজনক বস্তু লক্ষ্য করেছে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা।
উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) স্কুলের পাশে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার
তারপর আসে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী বিভাগ এবং ডগ স্কোয়াড। দীর্ঘ তল্লাশির পর উদ্ধার হয় মোট ১৬১টি জিলেটিন স্টিক। যার ওজন প্রায় ২০ কেজি। স্কুলের মতো জনবহুল এবং সংবেদনশীল জায়গায় এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত রাখা হয়েছিল কেন, তা নিয়ে উঠছে বড় প্রশ্ন। উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) আলমোড়া পুলিশ ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:কলকাতা মেট্রোয় AI যুগের সূচনা—নিরাপত্তা, ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও পরিষেবায় আসছে পরিবর্তন
আলমোড়ার (Uttarakhand) পুলিশ কর্তা দেবেন্দ্র পিঞ্চা জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটিই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “স্কুলের খুব কাছাকাছি থেকে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে। খবর পেয়েই স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডকে ডাকে। এলাকা ঘিরে রেখে বিস্তারিত তল্লাশি চালানো হয়েছে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষকে কোনোরকম গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর ঠিক কয়েকদিন আগেই ৯ নভেম্বর হরিয়ানার ফরিদাবাদে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। এরপরই পরদিন দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর কাছে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের, আহত হন বহু মানুষ। তদন্তে সামনে আসে দেশজুড়ে নাশকতার পরিকল্পনার চাঞ্চল্যকর তথ্য। আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন চিকিৎসককে সেই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। কীভাবে বিস্ফোরকের চক্রটি বহু রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

আরও পড়ুন:ঝোল বা কষা নয়! ‘কোলাপুরি মাটনের’ দাপটে সাজান ছুটির দুপুরের পাত, রেসিপি রইল
এর মাঝেই আবার স্কুলের কাছে এতগুলি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। তদন্তকারীরা বিষয়টিকে নাশকতা-সংক্রান্ত কোনও বড় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছেন কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে গোটা ঘটনায় নয়া রহস্য তৈরি হয়েছে এবং প্রশাসন চাইছে দ্রুত এর উৎস ও উদ্দেশ্য উদ্ঘাটন করতে।












