দেশ জুড়ে এনআরসি , সিএএ নিয়ে একাধিক মানুষ যখন প্রতিবাদে নামছেন তখন সবক্ষেত্রে মিটিং , মিছিল, প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেশে আগুন জ্বলেছে, সরকারি সম্পত্তি নস্ট হয়েছে। কিন্তু যত দিন এগিয়ে যা্চ্ছে তত প্রতিবাদের ভাষা আস্তে আস্তে বদলাতে শুরু করছে ।প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের কথা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছেন ।
ভারতের একাধিক রাজ্যে এখনও একাধিক জায়গায় চলছে অশান্তির আগুন। এই অশান্তির জেরে একাধিক জায়গায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো ইন্টারনেট । তবুও অশান্তির আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে প্রশাসনকে। এমনকি সেই দলে যোগদান করে আরও জেএনইউ, দিল্লি এবং হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও।সরকারের সঙ্গে এখন রাজ্যপালের বিবাদ যতদিন যাচ্ছে তত বেশি বেড়েই চলছে। কলেজে , বিশ্ব বিদ্যালয়ে ঢোকা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। কোথাও যেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এই নিয়ে বিরুপ হয়ে আছে।
আর এই অচল পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা জানাতে রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের ১৮ বিজেপি সাংসদ। সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই নাকি রাষ্ট্রপতির দরবারে যাচ্ছেন তাঁরা। যত দূর মনে করা হচ্ছে আগামিকাল, অর্থাৎ মঙ্গলবার বা বুধবার দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেন বিজেপি সাংসদরা। রাষ্ট্রপতিকে কী জানানো হবে তার খসড়া তৈরির ভার পড়েছে রাজ্য সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের ওপরে।
তারা জানিয়েছেন রাজ্যে এই যে অরাজকতা দেখা দিচ্ছে, মানে আইন কানুন তা মেনে চলা হচ্ছে না সেই নিয়েই এরা দিল্লি যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসংগত কিছুদিন আগেও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের আগুন এতোটাই চরমে ওঠে তা রাশ টানতে বেগ পেতে হয় পুলিশ থেকে প্রশাসনকে। আর তার জন্য রাজ্যের শান্তি বজায় রাখার জন্য ইণ্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয় এরপর ইণ্টারনেটে এত পরিমান ভুল খবর ছড়ায় তাই নিয়ে আরো গোলমাল শুরু হয়ে যায়।