বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) অটো সেক্টর এটিকে বিশ্বের শীর্ষ-৫ বাজারের অন্যতম করে তুলেছে। একইভাবে উৎপাদনের দিক থেকেও এর আকার সমানভাবে বড়। এখন এই বাজারটি দ্রুত বৈদ্যুতিক গাড়িতে স্থানান্তরিত হচ্ছে। যার ফলে কর্মসংস্থান হবে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষের। তবে এসব চাকরির জন্য সাধারণ মানুষকেও কাজ করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
ভারতে (India) হবে বিপুল চাকরি:
জানিয়ে রাখি যে, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে (India) বিক্রি হওয়া গাড়ির ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ি হিসেবে রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই বিষয়ে, অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির একটি সংস্থা সিয়াম সম্প্রতি একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। যেখানে এই বিষয়টি উপস্থাপিত করা হয়েছে যে এর জন্য কত ওয়ার্কফোর্সের প্রয়োজন হবে।
২ লক্ষ দক্ষ কর্মী লাগবে: মঙ্গলবার সিয়াম একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ ইভির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশে (India) ২ লক্ষেরও বেশি দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে। ET-র রিপোর্ট অনুসারে, ট্যালেন্ট হায়ারিং থেকে শুরু করে ট্রেনিং পর্যন্ত প্রায় ১৩,৫৫২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। সিয়ামের প্রেসিডেন্ট বিনোদ আগরওয়াল জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি যা তৈরি হচ্ছে, তা অনুযায়ী আগামী দিনে অটো শিল্পে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য কাজ করার জন্য দক্ষ ওয়ার্কফোর্সের প্রয়োজন হতে চলেছে। জানিয়ে রাখি যে, বিনোদ আগরওয়াল হলেন ভলভো আইশার কমার্শিয়াল ভেহিক্যালস লিমিটেডের এমডি এবং সিইও।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! ক্ষতিগ্রস্ত হবে কয়েক কোটি মানুষ, নয়া পরিকল্পনা সরকারের
তিনি জানান যে, অটো সেক্টরে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভারতের জন্য ওয়ার্কফোর্স অবশ্যই প্রয়োজন। এদিকে, সরকারের ইভি অ্যাডাপ্টেশনের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ অর্জন করতে হলে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন ২ লক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন। উল্লেখ্য যে, ভারতকে (India) প্রতি বছর শিল্পে ৩০,০০০ ইভি স্কিলড লেবার ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করতে হবে। যা বর্তমানে হল ১৫,০০০।
আরও পড়ুন: মুড সুইং! অনন্ত আম্বানির বিয়েতে করেছিলেন নাচ, আচমকাই ODI খেলবেন না জানালেন হার্দিক
করতে হবে এই কাজটি: এখান থেকে এটুকু স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, কর্মসংস্থান প্রদানের ক্ষেত্রে দেশের (India) অটো সেক্টর একটি বৃহত্তম সেক্টর। এটি ব্লু কালার এবং হোয়াইট কলার উভয় স্তরেই অপার সম্ভাবনা তৈরি করে। অর্থাৎ আগামী সময়ে এই সেক্টরে ২ লক্ষ দক্ষ জনবল লাগবে। এই বিষয়ে সিয়ামের সহ-সভাপতি শৈলেশ চন্দ্র বলেন, “আমাদের ইতিমধ্যে বিদ্যমান শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে অনেক নতুন প্রতিভাকেও দক্ষ করে তুলতে হবে। আগামী দিনে, বৈদ্যুতিক এবং যান্ত্রিক শাখা থেকে শুরু করে রাসায়নিক এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্ঞানেরও প্রয়োজন হবে।”