বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জেল থেকে ছাড়া পেলেও, খোঁজ পাচ্ছেন না কাছের মানুষদের। একদিন যাদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে জেলের ভাতও খেতে হল, আজ সেই বালির দুই গৃহবধূ অনন্যা এবং রিয়ার খোঁজ পাচ্ছেন না সেই দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাস।
শ্বশুরবাড়িতে নেই মুর্শিদাবাদের সেই রাজমিস্ত্রিদের প্রেমিকারা। কিন্তু নতুন কোন ঠিকানায় রয়েছে, তাও জানেন না তাঁরা। ফোনে যে তাঁদের সঙ্গে একটু যোগাযোগ করবে, সেও উপায় নেই। তাঁদের প্রেমিকাদের ফোন এখনও নাকি রয়েছে পুলিশ হেফাজতে। অসহায় হয়ে প্রেমিকাদের পরিচিত মহলে ফোন করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছে জেল ফেরত সেই দুই প্রেমিক।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ই ডিসেম্বর একই সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন একই বাড়ির দুই বউ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। সঙ্গে আবার নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশকেও। বাড়িতে থেকে গোপনেই প্রেমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই দুই জা। কিন্তু প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলে, অর্থের টানাটানিতে ফিরে আসতেই তাঁদের আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।
কদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে বালির নিশ্চিন্দার পলাতক গৃহবধূ কেসের সেই দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাস। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই সেই রাজমিস্ত্রিদের বক্তব্য, বালির ওই দুই গৃহবধূর সঙ্গেই তাঁরা সংসার করতে চান। তাঁদেরকেই তাঁরা ভালোবাসেন। পরিবারেরও সম্মতি রয়েছে এবং আইনি জটিলতা কাটিয়ে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে চায়।
তাঁদের বক্তব্য ছিল, ‘রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন নেই? আমরা কি ভালোবাসতে পারি না? ওদের সঙ্গেই আমরা সংসার করতে চাই’।