বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি শুধু বাংলা, অসম, কেরল, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ু নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছে না। এরমধ্যে সংযোগ হয়েছে মহারাষ্ট্রও। সোমবার তোলাবাজি মামলায় অভিযুক্ত থাকায় ইস্তফা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। এরপর থেকেই মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের উপর আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে। আর এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র বিজেপির নেতা চন্দ্রকান্ত পাতিল দাবি করেছেন যে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিতে চলেছেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার মতো অবস্থা সৃষ্টি হবে।
বলে রাখি, মুম্বাইয়ে ধন কুবের মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধার হওয়ার পর থেকে যত কাণ্ড কারখানা শুরু হয়। ওই গাড়ি উদ্ধার এবং তাঁর থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনার মহারাষ্ট্র পুলিশের দুঁদে অফিসার শচীন ওয়াজে-কে গ্রেফতার করে NIA। তাঁর সঙ্গে জঙ্গি যোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর শচীন ওয়াজের গ্রেফতারীর প মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার পরমবীর সিংহ শচিন এবং মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন।
পরমবীর সিংহ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে কে একটি বিস্ফোরক চিঠি লিখে জানান যে, শচীন ওয়াজে কে ১০০ কোটি তোলা তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন অনিল দেশমুখ। এরপরই মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়। একদিকে শাসক দল শিবসেনা, কংগ্রেস আর এনসিপি অনিল দেশমুখের পাশে দাঁড়ায়। আরেকদিকে বিরোধী দল বিজেপি অনিল দেশমুখের ইস্তফার দাবি করে। শেষ পর্যন্ত অনিল দেশমুখ সোমবার ইস্তফা দেন।
আর এরই মধ্যে বিজেপির নেতা চন্দ্রকান্ত পাতিল দাবি করেন যে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে অনেক কিছু ঘটতে চলেছে। তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের আরও দুজন মন্ত্রী ১৫ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করছেন। কয়েকজন ওই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করবেন। এর জেরেই ওনারা ইস্তফা দেবেন। মহারাষ্ট্রে আগামী কিছুদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন লাগু করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।