কংগ্রসের (Congress) বিধায়ক আরিফ মাসুদের (Arif Masood) ঘরে ২০ জনের বেশি বিধায়ক বৈঠক করেন। আর এই বৈঠকের পরেই মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হল। সুত্র অনুযায়ী, বৈঠকে অংশ নেওয়া এই বিধায়কেরা কমলনাথ সরকারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এর সাথে সাথে এরা নিজেদের আলাদা গোষ্ঠী বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। নির্দলীয় বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং শেরা জানায় আমরা যেই গোষ্ঠী বানিয়েছি তাঁর নাম রেখেছি শেরা। যদিও বিধায়ক আরিফ মাসুদ জানিয়েছেন যে, এই বৈঠক শুধুমাত্র সৌজন্যতার খাতিরে ডাকা হয়েছিল। উনি এও জানেন যে, এই বৈঠকে কোন রাজনৈতিক চর্চা হয়নি।
গত ২০ ডিসেম্বর বিধানসভার কাজ অনিশ্চিতকালের জন্য স্থগিত হওয়ার পর প্রথমবার বিধায়ক হওয়া এই ২০ নেতা কংগ্রেস বিধায়ক আরিফ মাসুদের ফার্ম হাউসে একত্রিত হন। এই বৈঠকে চর্চার সময় কয়েকজন মন্ত্রীকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। বিধায়কেরা জানান যে, কয়েকজন মন্ত্রী তাঁদের কাজকে গম্ভীর ভাবে নিচ্ছেনা। শুধু তাই নয়, সরকারের এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর মিন্টো হলে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এই বিধায়কদের উপেক্ষা করা নিয়েও ক্ষোভ জাহির করা হয়।
এই বিধায়কদের ক্ষোভ বিশেষ করে কয়েকজন মন্ত্রীদের নিয়েই আছে। সুত্র অনুযায়ী, বৈঠকে যেই মন্ত্রীদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়, তাঁদের মধ্যে পশুপালন মন্ত্রী লাখন সিং, জনজাতীয় কার্যমন্ত্রী ওংকার সিং মহকাম, সহকারিতা মন্ত্রী গোবিন্দ সিং আর মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী ইমরতী দেবীর নাম আছে।
ক্ষুব্ধ বিধায়কদের নিয়ে সরকার আর কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রথমবার মন্ত্রী পিসি শর্মার বয়ান সামনে এসেছে। পিসি শর্মা অনুযায়ী, মন্ত্রীদের না বিধায়কেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন কয়েকজন আধিকারিকদের নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী অথবা অন্যান্য মন্ত্রীদের উপর তাঁরা ক্ষুব্ধ না। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ সবার কথা শোনেন।
মন্ত্রী পিসি শর্মা বলেন, আমাদের বিধায়ক আর নির্দলীয়রা সবাই আমাদের সাথে আছে। এটাই প্রথম না যে, কমলনাথ সরকারে বিরুদ্ধে বিধায়কেরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন, এর আগেও সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রাজেশ শুক্লা, বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক সঞ্জু সিং, রামবাই আর নির্দলীয় বিধায়ক সুরেন্দ্র সিং ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।