বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) সাথে চলা সীমান্ত বিবাদ নিয়ে চীন (China) LAC-তে ২০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। আরেকদিকে, লাদাখের (Ladakh) সীমান্তের পাশে চীনের জিনজিয়াং প্রান্তেও চীন দশ থেকে বারও হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। ভারত চালাক চীনের প্রতিটি পদক্ষেপে নজর লাগিয়ে বসে আছে। জিনজিয়াং প্রান্তে সেনার বড়বড় বাহন আর হাতিয়ারের মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। চীন জিনজিয়াং প্রান্তে সেনা মোতায়েন রেখেছে কারণ, ভারতের সাথে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে যাতে ব্যাকআপ সেনা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লাদাখ সীমান্তে পৌঁছাতে পারে।
ভারত সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক সুত্র সংবাদ সংস্থা ANI কে জানায় যে, ‘চীনের সেনা নিজেদের দুটি ডিভিশন পূর্ব লাদাখে LAC এর পাশে মোতায়েন করে রেখেছে। সেখানে ২০ হাজারের বেশি সেনা থাকতে পারে। এছাড়াও প্রায় দশ হাজার সেনা জিনজিয়াং প্রান্তে উপস্থিত আছে। এই সেনা সীমান্ত থেকে প্রায় ১ হাজার কিমি দূরে আছে। কিন্তু চীনের দিকের রাস্তা সমতল হওয়ার কারণে এই সেনা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই লাদাখ সীমান্তে পৌঁছাতে পারবে।” বরিষ্ঠ আধিকারিক জানান, আমরা সীমান্তে চীনের প্রতিটি পদক্ষেপে নজর লাগিয়ে রেখেছি।
সুত্র ANI কে জানায়, ভারত আর চীনের মধ্যে হওয়া সেনা আধিকারিক স্তরের বৈঠকের পরেও চীন সীমান্তে সেনা কমাচ্ছে না। স্বভাবত লাদাখের পাশে চীন সীমান্তে PLA এর দুটি ডিভিশন মোতায়েন থাকে। কিন্তু এই সময়ে এক হাজার কিমি দূরে আরও একটি ডিভিশনকে ব্যাকআপে রাখা হয়েছে।
সুত্র অনুযায়ী, ভারতের তরফ থেকেও চীনের এই মুভমেন্ট দেখে সেনার দুটি ডিভিশন লাদাখ সীমান্তের পাশে মোতায়েন করা হয়েছে। ওই দুটি ডিভিশনের মধ্যে রিজার্ভ মাউন্টেন ডিভিশনও আছে। এই ডিভিশন প্রতি বছরই লাদাখে যুদ্ধঅভ্যাস করে। ট্যাংক আর বিএমপি-২ ইনফান্ট্রি যুদ্ধ বাহনও বায়ুসেনা দ্বারা সেখানে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব লাদাখ সেক্টরে সীমান্তে এই সময় ভারতের তরফ থেকে ত্রিশুল ইনফান্ট্রি ডিভিশন মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তের পাশে তিনটি আরও ব্রিগেড মোতায়েন করে হয়েছে। সুত্র থেকে জানা যায় যে, গালওয়ান উপত্যকা থেকে কারাকোরাম পাস পর্যন্ত চীনের বিপুল পরিমাণে সেনার মোতায়েন দেখে ভারতীয় সেনাও এই সেক্টরে আরও একটি ডিভিশন মোতায়েন করার চিন্তা ভাবনা করছে।