বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠন মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ১০ ই মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেয়। সেদিন বহু সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বিদ্যালয়েই হাজির ছিলেন না। এবার শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে সেই সব অনুপস্থিত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই, শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে কুড়ি হাজার শিক্ষকের কাছে শোকজ নোটিশ পৌঁছে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
গত ৯ মার্চ সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় নিয়মবহির্ভূতভাবে কেউ যেন ১০ই মার্চ ছুটি না নেয়। কাজে না এসে কোনও কর্মচারী যদি ধর্মঘটে (Strike) যোগ দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। সেইসব অনুপস্থিত কর্মচারীদের জীবন থেকে বাদ যাবে একটি ‘ওয়ার্ক ডে’।
রাজ্য সরকারের (State Government) এই কড়া নোটিসের পরেও গত দশই মার্চ বহু কর্মচারী ধর্মঘটে যোগদান করেন। এরপরেই রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নিয়ম না মানার জন্য বহু শিক্ষকের বেতনও কাটা যাবে। শিক্ষা দপ্তর এই মর্মে একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে।
সরকারের শোকজ নোটিশের (Notice) উত্তর ইতিমধ্যেই দিতে শুরু করেছেন অনুপস্থিত কর্মচারীরা। তারা বলছেন, নিয়ম মেনেই তারা ধর্মঘটে ন্যায্য দাবিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সূত্রের খবর, অনেকের উত্তরই পছন্দ হয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। তাই তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা।
অপরদিকে, বিভিন্ন দপ্তরের ছয় জন কর্মীকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার জন্যই এই বদলি কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, ধর্মঘটে অংশ নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর। বলা বাহুল্য, এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে সরকার তাদের কর্মচারীদের কড়া বার্তা দিতে চেয়েছে।