বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার বড়সড় ভাঙনের মুখে বিজেপি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গণইস্তফার হুমকি দিলেন প্রায় দু’শো বিজেপি কর্মী। এহেন ঘটনা তাও যেখানে সেখানে নয় ক্ষোভ শুভেন্দু গড়েই। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বদল নিয়ে পরিস্থিতি এমন জায়গাতে পৌঁছেছে যে ক্ষোভের আগুনে কার্যতই পুড়ছে নন্দীগ্রাম।
ঘটনার সূত্রপাত নন্দীগ্রাম ১ দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি বদলকে ঘিরে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকায় মোট পাঁচটি মণ্ডল কমিটি রয়েছে বিজেপির। অভিযোগ এর মধ্যে ১ নম্বর মন্ডলের সভাপতি জয়দেব মণ্ডলকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ শ্যামাপ্রসাদ মাইতিকে। আর তা নিয়েই বিপুল ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে কালিচরণপুর, গোকুলনগর, সোনাচূড়া এলাকার বিজেপির নেতা কর্মীদের মধ্যে।
এই ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি লিখে গণইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার প্রায় শ দুয়েক বিজেপি কর্মী। সোমবার এই নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকেও বসেন তাঁরা।
এলাকায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত জয়দেব মণ্ডলের জায়গায় আসা নতুন মণ্ডল সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মাইতি। ফলে তাঁর এই ক্ষমতা দখলকে মোটেই ভালো চোখে নিচ্ছে না বিজেপির নেতা কর্মীদের একাংশ। ফলে দল ছাড়ার পথেই এগোচ্ছেন তাঁরা। দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া এই নেতাকর্মীদের মধ্যে মণ্ডল স্তরের একাধিক বড় নেতা নেত্রীরাও রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। তবে কি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলেই যোগ দেওয়ার পথে ওই দুশো বিজেপি নেতা কর্মী ইতিমধ্যে এ নিয়েও তৈরি হয়েছে জল্পনা। এ বিষয়ে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দু অধিকারীর তরফে।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট