বাংলা হান্ট ডেস্ক : বহু ঝড়-ঝাপটা সামলে অনেক আশা জাগিয়ে হয়েছিল শেষবারের টেট পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে পর্ষদ সংবাদমাধ্যমের সামনে বড়ো মুখ করে বলেও গেলেন, এবার টেটে দুর্নীতি শূণ্য। কিন্তু সত্যিই কি তাই? গত ১১ ডিসেম্বর আয়োজিত প্রাথমিক টেটের চাকরিও কি বিক্রি হচ্ছে? ইডি (ED) সূত্রে পাওয়া এক তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই প্রশ্ন উঠে গেল।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর টেটে পরীক্ষা দিয়েছেন এমন কয়েকশ প্রার্থীর একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে কুন্তল ঘোষের লেকটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে। কেন এই নথি তাঁর ফ্ল্যাটে ছিল জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। কুন্তলও এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলে জানা যাচ্ছে।
গত ২০ জানুয়ারি টেট দুর্নীতিতে অভিযুক্ত যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের লেকটাউনের ২টি ফ্ল্যাটে একযোগে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় ২৭ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। পরদিন ২১ জানুয়ারি সকালে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। জানা যায়, তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক ডায়েরি ও বিপুল নথি। কুন্তলকে জেরা করার সঙ্গেই সেই নথি পরীক্ষা করা শুরু করছিলেন ইডির তদন্তকারী গোয়েন্দারা। আর সেই নথির মধ্যে থেকেই বেরিয়ে এসেছে গত ১১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া প্রাথমিক টেট পরীক্ষার্থীদের কয়েক শ’ অ্যাডমিড কার্ডের প্রতিলিপি। এর সঙ্গে পাওয়া গেছে OMR শিট ও ডিএলএড সার্টিফিকেটও। ইডি জানিয়েছে অন্তত ১০০-র বেশি প্রার্থীর নথি উদ্ধার হয়েছে এখান থেকে।
তাহলে কি ২০২২ সালের টেটের চাকরিও বিক্রি করার পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন কুন্তল ঘোষরা? পার্থ চট্টোপাধ্যায়সহ নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডারা জেলবন্দি হলেও কার উদ্যোগে এই পরিকল্পনা সে প্রশ্নও উঠছে বারবার। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারির পর ইডির হেফাজতে রয়েছেন কুন্তল। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করছেন গোয়েন্দারা। এমনই জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে।