বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনার সংকটে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্রের ২৮১ জন ডাক্তার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করার অনুমতি চেয়েছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮১ জন আয়ুর্বেদিক ডাক্তার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কথা খেলাপ আর মহারাষ্ট্র সরকার দ্বারা অপমানজনক ব্যবহারের কারণেই আত্মহত্যা করার অনুমতি চেয়েছেন।
চিঠিতে রাজ্য সরকার দ্বারা করোনার সময় আয়ুর্বেদিক ডাক্তারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি আদিবাসী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিযুক্ত করে রাখার বিষয়ে তাঁরা জানান, প্রায় দুই দশক ধরে ১৮টি আদিবাসী জেলায় সেবা প্রদান করে চলেছি, বেশীরভাগ সময় যেখানে কোনও প্রাথমিক সুবিধা নেই, সেই দূর-দূরান্তের গ্রামে যেতে হয়। কিন্তু এরপরেও সরকার তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য করছে।
আয়ুর্বেদিক ডাক্তাররা জানান, তাঁরা এই পিছিয়ে পড়া এলাকায় স্থানীয় মানুষের ছোট-খাটো রোগ, সর্পদংশন, অপুষ্টিতে ভোগা বাচ্চাদের চিকিৎসা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা এবং আদিবাসীদের সেবা করে চলেছে। এরপরেও সরকার তাঁদের দিকে দৃষ্টিপাত না করে তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য করছে।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মহারাষ্ট্রের স্বপ্নীল লোঙ্কার নামের এক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মহারাষ্ট্র লোক সেবা আয়োগের চিকিৎসায় পাশ করার পর পোস্টিং না হওয়া আত্মহত্যা করেছিলেন। আর সেই ঘটনার কিছুদিন পরই রাজ্যের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে এই বিস্ফোরক চিঠি লিখেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছর ডাক্তার, মহারাষ্ট্রের ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে এবং আদিবাসী মন্ত্রালয়ের মধ্যে একটি বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আদিবাসী এলাকায় কাজ করা ২৮১ জন আয়ুর্বেদিক ডাক্তারের বেতন ২৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার করা হবে। যদিও, প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও, সরকার সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেনি। আর এই কারণেই ডাক্তারদের ক্ষোভ আরও বেড়ে গিয়েছে।