১ দশক পেরিয়ে গেলেও পুলিশ পায়নি তথ্য প্রমাণ! কড়েয়ায় গণধর্ষণকাণ্ডে বেকসুর খালাস ৩ অভিযুক্ত

Published on:

Published on:

3 accused acquitted in Karaya molestation case.

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০১৪ সালের জুন মাসে কড়েয়ার গণধর্ষণকাণ্ডের (Karaya Molestation Case) অভিযোগ সামনে এসেছিল। সেই সময় এই ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও ১ দশকেও তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে কার্যত ব্যর্থ হল পুলিশ। যার ফলে, ওই গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩ জনকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল।

কড়েয়ায় গণধর্ষণকাণ্ডে (Karaya Molestation Case) বেকসুর খালাস ৩ অভিযুক্ত:

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক সময়ে যেখানে আরজি করের ঘটনা থেকে শুরু করে কসবাকাণ্ড ও জোকা IIM-র এর মতো ঘটনায় সরগরম রয়েছে রাজ্য সেই আবহে কড়েয়ার গণধর্ষণকাণ্ডে (Karaya Molestation Case) প্রমাণের অভাবে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। মূলত, সঠিক তথ্য প্রমাণ পুলিশ জোগাড় করতে না পারায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়।

3 accused acquitted in Karaya molestation case.

ঠিক কী ঘটেছিল: জানিয়ে রাখি যে, ২০১৪ সালের জুন মাসে কড়েয়ায় গণধর্ষণের (Karaya Molestation Case) অভিযোগ সামনে এসেছিল। মূলত, এক মহিলা রুটি কিনতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে তাঁকে গাড়িতে তুলে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, এটাও জানা যায় যে ওই মহিলা অন্য একটি ধর্ষণ মামলার সাক্ষী ছিলেন।

আরও পড়ুন: “উন্নয়নের জীবন্ত কিংবদন্তি…”, নবদ্বীপে মমতাকে “প্রতিশ্রুতিশীল প্রধানমন্ত্রী” হিসেবে দাবি, শুরু রাজনৈতিক তরজা

এদিকে, এই গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার পরিপ্রেক্ষিতে, মূল অভিযুক্ত হিসেবে শাহজাদা বক্স, জামাল-উর-রহমান, আকবর খান মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে শাহজাদা বক্সের নামে এর আগেও পুলিশের খাতায় অভিযোগ ছিল। এমতাবস্থায়, এই মামলায় মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার দিন থাকলেও আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয় পুলিশ উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ (Karaya Molestation Case) সংগ্রহ করতে পারেনি।

আরও পড়ুন: ২৬ কিমিরও বেশি মাইলেজ! সবাইকে টেক্কা দিল Maruti Suzuki-র এই সেভেন-সিটার! হু হু করে হচ্ছে বিক্রি

এমনকি, যে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে এবং যে গাড়িটিতে ধর্ষণের (Karaya Molestation Case) অভিযোগ উঠেছে সেগুলির কোনওটিই উদ্ধার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, ঘটনার সঠিক স্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য না থাকায় শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার এই গণধর্ষণের অভিযুক্ত ৩ জনকেই বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়।