কিছুক্ষণ আগেই বাংলা (west bengal) ও কেরলে (kerala) ৯ জঙ্গির গ্রেপ্তার করেছে NIA। এবার কাশ্মীর (kashmir) থেকে গ্রেপ্তার করা হল আরো ৩ জঙ্গি। ধৃত ৩ জঙ্গি বিচ্ছিন্নতা বাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য বলে জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে একই দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হল মোট ১২ জন সন্ত্রাসীকে।
জম্মু অঞ্চলের রাজৌরি জেলা থেকে সুরক্ষা বাহিনীর একটি যৌথ দল কর্তৃক তিন লস্কর জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে । আইজিপি জম্মু মুকেশ সিং জানিয়েছেন, জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি AK-56 রাইফেল, দুটি পিস্তল, চারটি গ্রেনেড ও নগদ এক লাখ টাকা সহ বিপুল গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে।
Three LeT terrorists arrested by a joint team of security forces from Rajouri district of Jammu region. Arms/ammunition recovered including two AK-56 rifles, two pistols, four grenades & Rs 1 lakh in cash: IGP Jammu Mukesh Singh
— ANI (@ANI) September 19, 2020
NIA (national investigation agency) বাংলা ও কেরলের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি (militant) কার্যকলাপের অভিযোগে মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ এর মুশির্দাবাদ থেকে থেকে। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এরা প্রত্যেকেই পাকিস্তানের কুখ্যাত আল-কায়দা সংগঠনের সাথে জড়িত।
জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়া আল-কায়েদার নয়জন সন্ত্রাসীর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে লিউ ইয়ান আহমেদ ও আবু সুফিয়ান এবং কেরালার মোসারাফ হোসেন ও মুর্শিদ হাসান অন্যতম।
Leu Yean Ahmed and Abu Sufiyan from West Bengal and Mosaraf Hossen & Murshid Hasan from Kerala are among the nine Al-Qaeda terrorists arrested by National Investigation Agency (NIA) pic.twitter.com/jMnRjTIjED
— ANI (@ANI) September 19, 2020
জানা যাচ্ছে, ভারতের ভিতরে এই মডিউলটি বেশ কয়েকদিন ধরে সক্রিয় ছিল। এরা ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য ও জনবহুল এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার ছক কষছিল।এদের কাছ থেকে বেশ কিছু ডিজিটাল ডকুমেন্ট, অস্ত্র, জিহাদী বই ও অন্যান্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এই জঙ্গি গোষ্ঠী ভারতের রাজধানী দিল্লি সহ একাধিক জায়গায় হামলা চালানোর জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক আল কায়েদা সন্ত্রাসীদের দ্বারা কট্টরপন্থী হয়েছিল।
সূত্র থেকে আরো জানা যায়, এরা সন্ত্রাসের জন্য টাকা ও অস্ত্র সংগ্রহ শুরু করে দিয়েছিল। এদের খুব শীঘ্রই দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল বলে জানা যাচ্ছে।