বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে ‘শালী আধি ঘরওয়ালি’। কিন্তু তা যে এভাবে সত্যি সত্যিই সত্যি হয়ে যাবে সেকথা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি যুবক। এক তরুণীর রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। তারপরেও ঘটল অঘটন। প্রেমিকার সঙ্গেই দুই শালীকেও বিয়ে করতে হল ওই যুবকে। সোমবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে।
কিন্তু হঠাৎ এহেন সিদ্ধান্ত কেন? ৩২ বছর বয়সী পাত্র লুইজো জানিয়েছেন, ওই তিন বোনের মধ্যে নাতালিয়ার প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। স্যোশাল মিডিয়ায় আলাপ হলেও তা প্রেমের রূপ নিতে সময় লাগেনি বেশিক্ষণ। একে অপরের সঙ্গে রোজ দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর অবশেষে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। লুইজো জানিয়েছেন নাতালিয়ার রূপ দেখেই মুগ্ধ হয়ে তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি।
প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর পরই নিজের বাকি দুই বোন নাডিগি এবং নাতাশার সঙ্গেও তাঁর পরিচয় করিয়ে দেন নাতালিয়া। তিনজনকে একসঙ্গে দেখে কার্যতই আকাশ থেকে পড়েন লুইজো। তিনজনকে হুবহু এক রকম দেখতে। কোনও উপায়ই নেই আলাদা করার। একই সঙ্গে প্রেমিকার মতন আরও দুজনকে দেখে প্রায় মুর্চ্ছা যাওয়ার অবস্থা যুবকের। কিন্তু ততক্ষণে যা ঘটার ঘটেই গেছে। লুইজোকে দেখে প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেছেন বাকি দুই বোনও।
মাত্র কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই তিন বোনের স্বপ্নের রাজকুমার হয়ে উঠেছিলেন লুইজো। অথচ প্রেমিকাকেও হারাতে চাননি তিনি। তিন বোনও অবশ্য প্রেমিককে নয়ে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট চাননি নিজেদের মধ্যে। তাই তিন বোনই একসঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন লুইজোকে। তাঁর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি হয়ে ওঠে ‘উইন উইন’ পরিস্থিতিই। কারণ নাতালিয়ার রূপ দেখেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। বাকি দুই বোনকেও সম্পুর্ণ একরকম দেখতে হওয়ায় আপত্তির কিছুই ছিল না লুইজোর।
ওই তিন বোন জানিয়েছেন, ছোট থেকে সব কিছুই ভাগ করে নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দেখতের মতন পছন্দও এক। কখনও কিছু নিয়েই ঝামেলা হয়নি তাঁদের। ফলে এক স্বামী নিয়েও যে ঝামেলা হবে না তা নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। মৃত্যুই একমাত্র আলাদা করতে পারবে তাঁদের এই দাবিই করেছেন তিন বোন। যদিও এহেন অদ্ভুত বিয়ের খবরে কার্যতই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বেই।