বাংলা হান্ট ডেস্ক : দুবরাজপুরে (Dubrajpur) তৃণমূল (Trinamool Worker) কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে একদিন আগেই। এবার সেই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। তবে এখনও ফেরার মূল অভিযুক্ত শেখ সফিক। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনের ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ধৃত অপর অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। এদিকে দুবরাজপুরের বিস্ফোরণের রেশ কাটার আগেই কাঁকড়তলা গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল।
প্রসঙ্গত, ২২ মে দুপুরে পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামের শেখ সফিকের বাড়িতে বিস্ফোরণের ফলে সিঁড়ি ঘরের একাংশ উড়ে যায়। এই তীব্র বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার বিরাট পুলিস বাহিনী। অবশ্য পুলিস আসার আগেই শেখ সফিক এলাকা থেকে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় দুবরাজপুর থানার পুলিস শেখ সফিকের ভাই খয়রুদ্দিন মণ্ডল এবং সফিকের ছেলে শেখ শাহরুখ আলমকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তদের বিরূদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। ওই বিস্ফোরণে ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া খয়রুদ্দিন মণ্ডল ওরফে মরিলালের ছেলে সেখ ইমামউদ্দিন মণ্ডল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিস।
এদিকে, বোলপুরের দুবরাজপুরের পর এবার কাঁকড়তলা থানার সাহাপুর গ্রামের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১০-১২টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার ভোররাত্রে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে একটি থলি ভরতি বোমা উদ্ধার হয়।
ঘটনাস্থল চারিদিক ঘিরে রেখেছে কাঁকরতলা থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে আসছে সিআইডির বোম ডিসপোজাল টিম। কী কারণে বোমা মজুত করা হয়েছিল, এই বোমা মজুতের সাথে কারা যুক্ত রয়েছে ইতিমধ্যেই তা তদন্ত শুরু করেছে কাঁকরতলা থানার পুলিস।