Bangla Hunt Desk: বর্তমান দিনে পাকিস্তানী (Pakistani) অভিবাসী এবং গ্রীক (Greek) কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। আগ্রাসী মনোভাবের জন্য প্রায় ৩০ জন পাকিস্তানীকে ক্রেট দ্বীপে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রাবসী হয়েও নিজেদের আক্রমণাত্মক মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে এই সকল পাকিস্তানী।
পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
সূত্রের খবর, ২০২০ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে একজন গ্রীক মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে এক পাকিস্তানীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় ২০০-৩০০ জন গ্রীক যুবক মিলিতভাবে ক্রেট দ্বীপের টিমপাকির একটি মসজিদে আক্রমণ করেছিলেন।
আরও জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্টের শেষ সপ্তাহে প্রায় ২৫-৩০ অবৈধ পাকিস্তানীকে তাঁদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে গ্রীকরা বন্দী করে রেখেছিল। পরবর্তীতে অ্যাথেন্সের পাকিস্তানি দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে বর্ণবাদী এবং ফ্যাসিবাদী বলে আখ্যায়িত করেছিলেন পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সভাপতি জাভেদ আসলাম আরিয়ান।
ফেরত পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানীদের
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে অবৈধ পাকিস্তানি অভিবাসীদের গ্রীস থেকে ছাটাই শুরু করা হয়। অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রকের পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে ৩০ জন পাকিস্তানী, যারা অবৈধভাবে গ্রীসে প্রবেশ করেছিল, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
অভিবাসন ও আশ্রয় মন্ত্রী নোটিস মিতারাকিস জানিয়েছেন, ‘গ্রীস একটি কঠোর এবং সুষ্ঠু অভিবাসন নীতি মান্য করে। মার্চ মাসের শুরু থেকে আমরা এক নতুন নিয়ম বাস্তবায়িত করতে শুরু করেছি। যেসকল ব্যক্তি অবৈধভাবে গ্রীসে ঢুকে পড়ছে, তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই গ্রীক পুলিশ এবং অ্যাথেন্সের পাকিস্তান দূতাবাসের সহযোগিতায় পাকিস্তানের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে’।