বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২১ এর ভোটে তৃণমূলকে (All India Trinamool Congress) উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর হয়েছে বিজেপি (Bharatiya janata party)। আর সেই সুত্রেই কিছুদিন আগে রাজ্যের সাংগঠনিক দিক থেকে বড়সড় রদবল করা হয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে সমস্ত কিছু গুছিয়ে নিতে চায় বিজেপি। সেই জন্য অন্য দলের বিক্ষুব্ধদের দলে টানার প্রস্তুতি তুঙ্গে গেরুয়া শিবিরের।
আর সেই প্রস্তুতিতেই আজ উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে বড়সড় ফের বদল হল। আজ দুপুরে কামারহাটির রথতলা মোড়ে বিভিন্ন দল থেকে ৩০০ জন কর্মী সমর্থক এসে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন। আপনাদের জানিয়ে দিই, বেশি কিছুদিন আগে ত্রাণ বিলি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল কামারহাটি। সেখানে তৃণমূলের কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠদের হাতে খুন হন তৃণমূলেরই কর্মী। এরপর থেকেই তৃণমূলের মধ্যে রোষ বেড়েছে।
আর সেই রোষের কারণেই আজ এই বড়সড় রদবদল ঘটল কামারহাটিতে। বঙ্গ বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায়ের হাত ধরে ভিন দল থেকে আসা কর্মী সমর্থকরা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। রাজু বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য অনুযায়ী, ৩০০ জনের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। উনি জানান, এই রদ দবলের ফলে এলাকায় বিজেপির শক্তি আরও বৃদ্ধি পেলো।
রাজু বন্দোপাধ্যায় সরাসরি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চরিয়ে বলেন, আমফান নিয়ে দুর্নীতি করছে মমতা সরকার। একদিকে মমতা ব্যানার্জী ক্ষতিগ্রস্তদের ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা বলছেন, আরেকদিকে তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের না দিয়ে নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন।
উনি জানান, আমফানের টাকা বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা কর্মীদের পকেটে গেছে। যাঁদের পাকা বাড়ি তাঁরা টাকা পাচ্ছে, কিন্তু যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে, তাঁরা কিছুই পাচ্ছে না। আরেকদিকে, কামারহাটি পুরসভার পৌর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেতা বলেন, লকডাউন ভেঙে বিজেপি কর্মসূচী চালাচ্ছে। তবে এতে লাভ হবে না। তৃণমূল সুরক্ষিত ছিল, আছে আর থাকবে।