জেলে কেষ্ট! এদিকে ভোটের আগেই বীরভূমে যা ঘটালেন সংখ্যালঘুরা…বিরাট ধাক্কা শতাব্দীর!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টকে ছাড়াই তাঁর ‘গড়ে’ লোকসভা নির্বাচন হবে এবার। অনুব্রত-হীন বীরভূমে (Birbhum) জোড়াফুল ফোটানো সহজ হবে না বলেই অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। ভোট নিয়ে চলতে থাকা এসব চর্চা-আলোচনার মাঝেই সামনে এল বড় খবর! ভোটের আগে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল (Trinamool Congress TMC) শিবির।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্র থেকে শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy) দাঁড় করিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। কয়েকদিন আগে বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী শতাব্দী মহম্মদ বাজার ব্লকের অধীন রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাটেরবাঁধ এলাকায় প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন। সেই সময় বেশ কিছু পরিবারের সদস্যরা বিজেপির পতাকা দেখিয়ে তৃণমূল (TMC) নেত্রীকে স্বাগত জানান।

জানা গিয়েছিল, তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি রাকেশ মণ্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকেই এমনটা করেছিলেন ওই পরিবারের সদস্যরা। রাকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সবকিছুতে কাটমানি নেন। শুধু তাই নয়, যা যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল একটাও পূরণ করা হয়নি। এবার ভোটের মুখে ওই এলাকারই ৩০০ সংখ্যালঘু পরিবার জোড়াফুল শিবিরের ওপর একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিজেপির (BJP) দলীয় কার্যালয়ে এসে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন।

আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালির ছায়া শান্তিপুরে! ফের TMC নেতাদের অত্যাচারের শিকার গ্রামের মহিলারা! তোপ অমিত মালব্যর

তৃণমূল সম্বন্ধে তাঁরা বলেন, ‘এই দলের পুরোটাই ঢপ। তৃণমূল কংগ্রেস এবং এই দলের সাংসদ শতাব্দী রায় যা যা দেবেন বলেছিলেন কিচ্ছু দেননি। এদের সবটাই ঢপের কাজ’। লোকসভা ভোটের আবহে কেষ্ট গড়ে ৩০০ সংখ্যালঘু পরিবার এভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলকে বেশ চাপে ফেলতে পারেন বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের। এছাড়া যে এলাকা থেকে এই পরিবারগুলি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সেখানে গেরুয়া শিবিরের ভালোরকমের প্রভাব রয়েছে বলে খবর। তাই এই দলবদলের প্রভাব ভোটবাক্সে কতখানি পড়বে সেটা দেখার বিষয়।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনেকে। যদিও বিষয়টিকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল নেত্রী। কারণ শতাব্দী যখন ওই এলাকায় প্রচারে যান এবং তাঁকে কয়েকজন বিজেপির পতাকা দেখিয়ে স্বাগত জানান, তখনই তিনি বলেছিলেন, ‘দুই একজন বড় মানুষ ছাড়া বাকি সব ছোটদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে’।

Trinamool Congress TMC Birbhum candidate Satabdi Roy

যাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হয়তো তৃণমূল, বিজেপির বানানটাও ঠিকভাবে বলতে পারবে না, বলেছিলেন জোড়াফুল প্রার্থী। অন্যদিকে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি রাকেশও কাটমানি নেওয়া থেকে শুরু করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অন্যান্য সকল অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর