ইতালিতে যেন কোরোনার প্রকোপে মৃত্যু মিছিল বেড়েই চলেছে। আর তার ভয়ে শিউরে উঠছে দেশের সকল নাগরিক। প্রত্যেক দেশের মানুষ যেন এখন মৃত্যু থেকে ভয়ে নিজেকে বাঁচাতে তৎপর হয়ে উঠছ। এভাবেই যদি আমরা নিয়ম মেনে চলতে পারি আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারি তাহলে এই ভাইরাস কম ছড়াবে।
আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লির তিহার জেল প্রশাসন একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মতে তিহার কারাগারে ৩০০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্তত ১৫০০ জন বন্দিকে প্যারোল, ফারলো বা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে বিচারে মুক্তি দেওয়া হবে। এর আগেও এরকম জরুরি পরিস্থিতির জন্য আমরা দেখেছি ইরানের অনেক বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আর এবার ভারতেও সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। দেশের গবেষকরা করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে এতদিন ধরে একটা কঠিন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই ভাইরাস এতটাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে এর কারণে আমরা দেখতে পেয়েছি রাতারাতি বন্ধ করা হয়েছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য পিছিয়ে গেছে বহু টুর্নামেন্ট. এমনকি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে বহু পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে।
তার মধ্যে আটকানো যায়নি এই ভাইরাস. রাতারাতি বন্ধ করা হয়েছে বিমান, রেল এবং বাস পরিষেবা। আর রাজ্যে সব জায়গায় ৩১মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে লক ডাউন। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষকে যত সম্ভব ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোতে মানা করা হয়েছে। সোমবার প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনার ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ৬০০ পৌঁছেছে। আর এই কারণেই দিল্লি সরকার সোমবার দিল্লি হাইকোর্টকে বলেছে যে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার জন্য বন্দীদের বিশেষ প্যারোলে এবং ফারলোর অধীনে বন্দীদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দিল্লি সরকার তার অতিরিক্ত স্থায়ী কাউন্সিল অনুজ আগরওয়ালের পক্ষে হাইকোর্টে এই তথ্য দিয়েছে।