মৃত মানুষকে জীবিত করার পদ্ধতি? এই দেশের আবিষ্কৃত অদ্ভুত মেশিন নিয়ে তোলপাড় গোটা বিশ্বে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একবিংশ শতাব্দির চিকিৎসা বিজ্ঞান চমৎকার করতে পারে। খোলা বাজারেই এমন অনেক মেশিন পাওয়া যায় যেগুলির কার্যকারিতা অবাক করে দেওয়ার মতো। বড়ো বড়ো রোগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে বড়ো বড়ো সার্জারি অতি সহজেই খুবই কম সময়ে করা সম্ভব এখন। যদিও এত কিছুর পরও মৃত মানুষকে জীবন্ত করার কৌশল আজও মানুষের অজানা। কিন্তু সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি কোম্পানি প্রাচীন মিশরের মমি তৈরির কৌশলকে রপ্ত করতে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে।

ওই কোম্পানির দাবি, তারা একটি বিশেষ ধরনের বাক্স তৈরি করছে, যার মধ্যে কোনও মৃতদেহ রাখলে তা কোনও দিনই নষ্ট হবে না। এবং যে অবস্থায় রাখা থাকবে সেই অবস্থাতেই বছরের বছর ধরে রয়ে যাবে। ভবিষ্যতে যদি মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার কোনও পদ্ধতি আবিষ্কার করা যায়, তাহলে এই বাক্সগুলি থেকে মৃত দেহ বের করে এনে তাকে আবার পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব। প্রসঙ্গত প্রাচীন মিশরেও পুনরায় জন্ম নেওয়ার তত্ত্বকে বিশ্বাস করা হতো। তারা মনে করতো, মৃতদেহকে সুরক্ষিত রাখলে সেই দেহ আবার বেঁচে উঠতে পারে। সেই আশাতেই প্রাচীন মিশরে শুরু হয় মমি তৈরির প্রচলন।

জানা যাচ্ছে, যে কোম্পানি এই আধুনিক মমি তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেছে তার নাম সাউদার্ন ক্রীয়োনিক্স। এই কোম্পানির হেড অফিস রয়েছে সিডনিতে। তারা এমন একটি বাক্স তৈরি করেছে, যে বাক্সে -২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মৃতদেহকে রাখা যাবে। যে ভাবে মৃতদেহটি রাখা হবে, বছরের পর বছর একই অবস্থায় থাকবে বলেই দাবি করছে তারা।

কোম্পানির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই সুবিধা নিতে হলে ১ কোটি টাকারও বেশি খরচ পড়বে। একটি ইস্পাতের বাক্সে মৃতদেহকে তরল নাইট্রোজেনে ডুবিয়ে উল্টো করে রাখা হবে। উল্টো করে রাখার কারণ হলো, যদি কোনও কারণে এই বাক্স ফুটো হয়েও যায় তাহলেও যেন মস্তিষ্ককে বাঁচিয়ে রাখা যায়। কোম্পানিটি জানিয়েছে তাদের কাছে এখন ৪০ টি এই রকম বাক্স রয়েছে। এবং তারা চেষ্টা করছে অন্তত ৬০০ মৃতদেহকে এই ভাবে সংরক্ষণ করার। আদৌও তা সম্ভব কিনা তা ভবিষ্যতই বলবে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর