বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতিতে একদিকে যেমন চিকিৎসা জনিত নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী এবং তাঁর পরিজনদের, অন্যদিকে কিন্তু এই সংকটের সুযোগে মোটা টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা (ambulance driver)। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য হচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছেন কিছু সুবিধাভোগী অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।
বাংলার বুকে আবারও অভিযোগ উঠল অ্যাম্বুল্যান্স চালকের দাদাগিরির। সূত্রের খবর, হুগলির (Hooghly) উত্তরপাড়ার এক মহিলা বাসিন্দা চিকিৎসার জন্য উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁর স্বামীকে কলকাতার হাসপাতালে আনার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
প্রথমে ঠিক হয় ভাড়া বাবদ ১২ হাজার টাকা দিতে হবে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে। কিন্তু কলকাতার একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও বেড সংকটের কারণে স্বামীকে ভর্তি করতে না পেরে আবারও উত্তরপাড়া ফিরিয়ে আনেন ওই মহিলা। কিন্তু সেইসময় অ্যাম্বুল্যান্স চালক দাবি করেন ৬ ঘন্টা সময় গেছে তাঁর। তাই ১২ হাজার টাকা নয়, তাঁর ভাড়া ৩৩ হাজার টাকা হয়েছে, আর সেটাই দিতে হবে।
স্বামীকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করতে না পেরে হতাশায় জর্জরিত ওই মহিলার মাথায় তখন আকাশ ভেঙে পড়ে। তিনি ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালককে জানান, তাঁর কাছে এই মুহূর্তে অত টাকা নেই। কিন্তু কোন মতেই কিছু বুঝতে নারাজ ছিলেন ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। অবশেষে নিজের গহনা বন্ধক দিয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের ভাড়া মেটাতে বাধ্য হন ওই গৃহবধূ। পরবর্তীতে এই ঘটনার কথা অ্যাম্বুল্যান্সের মালিককে জানালে তিনি চালকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।