বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নো বল ক্রিকেটে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। আগে নো বলের জন্য কেবল এক রান এবং একটি অতিরিক্ত বল করতে হতো বোলারদের। কিন্তু বর্তমানে বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে নিয়ম বদলের কারনে। এখন নো বলের শাস্তি হিসেবে বোলারদের যে অতিরিক্ত বল করতে হয় তাতে ফ্রি হিট নিতে পারেন ব্যাটাররা। কারণ এই বলে আউট হবার সুযোগ প্রায় নেই বললেই চলে। আর তাই ব্যাটাররা এই বলে যথাযথ ফায়দা তুলতে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকেন।
তাই ক্রিকেটে এখন নো বল না করাটাও একটা বিশেষ অনুশীলনের মধ্যে পড়ে। আজ এমন ৪ জন ক্রিকেটারের নাম বলবো, যারা নিজেদের দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনে একটিও নো বল করেননি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এদের মধ্যে তিনজনই জোরে বোলার এবং মাত্র একজনই স্পিনার রয়েছেন।
ডেনিস লিলিঃ
অস্ট্রেলিয়ার এই বিখ্যাত ফাস্ট বোলার অনেক ব্যাটসম্যানের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছেন গোটা ক্রিকেট জীবনে। দেশের হয়ে মোট ৭০ টি টেস্টে ৩৫৫ টি এবং ৬৩ টি একদিনের ম্যাচে ১০৩ টি উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ২০ হাজার ৫৯৪ টি বল করেছেন ডেনিস লিলি। কিন্তু তিনি এতটাই অনুশাসনের সঙ্গে বোলিং করতেন যে একটিও নো বল করেননি।
ইমরান খানঃ
পাকিস্তানের এই বিখ্যাত অধিনায়ক ১৯৯২ সালে দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কপিল দেবের মতোই ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার। দেশের হয়ে মোট ৮৮ টি টেস্ট খেলে ৩৬২টি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন ইমরান। এছাড়া ১৭৫ টি একদিনের ম্যাচে রয়েছে ১৮২ টি উইকেট। দেশের প্রায় ১৩ হাজারের কাছাকাছি বল করেছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক কিন্তু একটিও নো বল করেননি।
স্যার ইয়ান বোথামঃ
কপিল দেবের সময় বিশ্বের আরেক খ্যাতনামা অলরাউন্ডার ছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার ইয়ান বোথাম। নিজের জীবনে ১০২ টি টেস্ট খেলে ৩৮৩ টি এবং ১১৬ টি একদিনের ম্যাচ খেলে ১৪৫ টি উইকেট শিকার করেছেন বোথাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন ২৭ হাজার ৪০২ টি ডেলিভারি। তারও একটিও নো ব
ল্যান্স গিবসঃ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তারকা স্পিনারই এই তালিকার একমাত্র স্পিন বোলার যিনি জীবনে একটিও নো বল করেননি। দেশের হয়ে ৭৯টি টেস্ট খেলে ৩০৯ টি এবং তিনটি একদিনের ম্যাচে চারটি উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন গিবস।