বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ক্রিকেট ক্রমাগত অভিযোজিত হয়ে চলেছে। দশ বছর আগে ক্রিকেটারদের যা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল তা আজ অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ফিটনেসের দিক দিয়ে। আগেকার দিনে এমন অনেক ক্রিকেটার ক্রিকেটের মাঠ দাপিয়ে বেরিয়েছেন যারা হয়তো ফিটনেসের দিক দিয়ে খুব একটা ভালো জায়গায় ছিলেন না। কিন্তু বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে ফিটনেস বিষয়টা এতটা বেশি গুরুত্ব অর্জন করেছে যে প্রতিভা থাকা সত্বেও ফিটনেসের অভাবে সুযোগ পাচ্ছেন না এমন ক্রিকেটের সংখ্যা নেহাত কম নয়।
মাঠে এই ফিটনেসের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো রানিং বিটুইন দ্য উইকেট। আজকের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের যুগে পাওয়ার হিটিং এর পাশাপাশি এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হয়ে উঠেছে। একটু বোলিংবান্ধব পিচে যেখানে বেশিরভাগ ক্রিকেটার বড় শট খেলতে গিয়ে দুবার ভাবেন সেই পিচে এটি হয়ে উঠতে পারে যে কোন ব্যাটারির সবচেয়ে বড় অস্ত্র। বাউন্ডারি একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর খুঁজে নেওয়ার মাঝে কুইক শর্ট রান, সিঙ্গেল কে ডাবলসে পরিণত করা এই বিষয়গুলি দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করব চারজন সেই ক্রিকেটারদের সম্পর্কে যারা রানিং বিটুইন দ্য উইকেটেও সিদ্ধহস্ত।
ডেভিড ওয়ার্নার: তিনি অত্যন্ত আগ্রাসী ব্যাটার। তার শরীরের ওজনও একটু বেশির দিকে। কিন্তু এটি তাকে উইকেটের মাঝে দ্রুতগতির রানার হওয়া থেকে আটকাতে পারেনি। এই কৃতিত্ব অনেকটা তার স্ত্রীয়েরও বটে, যিনি পেশায় একজন প্রফেশনাল লাইফসেভার। আজ যে ওয়ার্নার একজন উঁচু দরের অ্যাথলেট তার একটা বড় কারণ হলো তার স্ত্রী ক্যান্ডিসের তৈরি করা ট্রেনিং শিডিউল।
জস বাটলার: একজন অত্যন্ত আগ্রাসী ব্যাটার হওয়ার পাশাপাশি উইকেটের মাঝে দ্রুত দৌড়ে রানের গতিকে সচল রাখতেও পারদর্শী বাটলার। নিজের কেরিয়ারে খুব কমই তিনি রান আউট হয়েছেন। শটের একাধিক বৈচিত্র্যের পাশাপাশি বোলারদের ভালো ডেলিভারিগুলিকে গ্যাপে ঠেলে দিয়ে রান চুরি করে নেওয়ার অভ্যাসের কারণে বাটলার আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন প্রতিপক্ষের কাছে।
বিরাট কোহলি: ইনাকে নিয়ে হয়তো বেশি ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। বিশ্বের সর্বকালের সবচেয়ে ফিট ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন বিরাট। এই তালিকায় এতক্ষণ ধরে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই বিগ হিটার। বিরাট হয়তো পাওয়ার হিটিংয়ে তাদের সমকক্ষ নন, কিন্তু একজন ক্রিকেটার হিসেবে তাদের চেয়ে এগিয়ে বিরাট কোহলি। কারণ বিরাট কোহলি খুবই পারদর্শী সিঙ্গেলকে ডাবলসে পরিণত করার ব্যাপারে। যে অনায়াস ছন্দবদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি অসম্ভব পরিস্থিতি থেকে রান চুরি করেন, তেমন ক্ষমতা খুব বেশি ক্রিকেটারের নেই। আরে অনেক সময় দেখা যায় বিরাট কোহলি সারা ম্যাচ জুড়ে দৌড়ে যাওয়ার পরেও বিরাট এক ফোটাও হাঁপাননি।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: নিজের কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে পৌঁছানো ক্যাপ্টেন কুলকে বিশ্বের সেরা রানার বিটুইন দ্য উইকেট বললে বোধহয় অত্যুক্তি হবে না। বিরাট কোহলির মতো তারকা অস্বীকার করেছেন যে তিনি ধোনির মতো এই ক্ষেত্রে এত দক্ষ কাউকে দেখেননি। বয়স হওয়ার পরে অতি নিয়ে উইকেটের ভেতরে যতটা দ্রুতগতিতে দৌড়ান, ততটা হয়তো বিশ্বের কোনও ক্রিকেটার করতে পারবেন না। নিজের এই গুণের মধ্যে দিয়ে ভারত সহ নিজের অন্যান্য দলকে একাধিকবার উদ্ধার করেছেন মাহি।