বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট (Loksabha Vote)! শুক্রবার বাংলার তিন লোকসভা কেন্দ্রে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আর এর মাঝে ভোট চলাকালীনই শাসকশিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP State President Sukanta Majumdar)। ভোট শুরুর দিনই জোর ধাক্কা তৃণমূলে। জানা গিয়েছে এদিন সুকান্ত গড় বালুরঘাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি-সহ প্রায় ৩০-৪০ জন জোড়াফুল ছেড়ে নাম লেখালেন বিজেপিতে (BJP)।
বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন বালুরঘাট ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত সরকার, ওয়ার্ডের যুব সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, মহিলা তৃণমূল সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওদিকে বালুরঘাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু কর্মী সমর্থকও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এমনটাই দাবি বিজেপি সূত্রে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ বাংলায়। সেই দিন ভোট রয়েছে উত্তরবঙ্গের বালুরঘাটেও। আর তার মাত্র সাত দিন আগে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের বিজেপিতে যোগদান তাদের বাড়তি অক্সিজেন যোগাবেন বলেই মনে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে ভোটের মুখে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন তৃণমূল। ওই কথায় বলে কারও পৌষ মাস কারও সর্বনাশ।
সংগঠন মজবুত হওয়ার প্রসঙ্গে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বে, ওয়ার্ডের মহিলা প্রেসিডেন্ট টুম্পা সরকার, বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বুথের তৃণমূলের মহিলা নেত্রী আমাদের দলে এসেছেন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বহু বাসিন্দারাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজ দেখে দলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: তৃণমূলের থেকে টাকা নিয়ে BJP-কে ভোট দিন! আমজনতাকে ‘পরামর্শ’ মহাগুরু মিঠুনের
ওদিকে ঘটনাকে আমল দিতে নারাজ বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। পাল্টা তিনি বলেন, “একই জল নতুন বোতলে ভরানো হল। ২০১১ ও ২০১৩ সালে এরা আমাদের সঙ্গে কাজ করলেও এদের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব বেড়েছে। ২০২১ সালে এরা বিজেপির হয়েই কাজ করেছে। তবে এতদিন এরা দু’ নৌকায় পা দিয়ে চলছিল।’ শাসকশিবির তাদের দলের এই ভাঙন নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা না দেখালেও ভোট শুরুর প্রথম দিনের এই ঘটনা নিশ্চিতভাবে তৃণমূলের মাথাব্যথার কারণ হতে চলেছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।