বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশের ধর্মীয় স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ এবং দেশের একাধিক স্থানে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে এর আগেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় আর এবার গুজরাটের একটি মন্দিরে লাউডস্পিকার বাজানোকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনা সামনে এলো। এই ঘটনায় 40 বছরের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বর্তমানে সেই ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ এবং তাদের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
লাউডস্পিকার বিতর্ক নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মারামারি এবং হিংসার ঘটনা অতীতেও সামনে আসে। তবে সম্প্রতি গুজরাট থেকে যে অভিযোগটি সামনে এসেছে, তার সত্যি গা শিউরে দেওয়ার মতন। গুজরাটের মেহসানা জেলার মুদারদা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ব্যক্তির নাম যশবন্তজী ঠাকুর। পেশায় ঠিকা পারিশ্রমিকের কাজ করা এই ব্যক্তি বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় এক মন্দিরে পুজো দিতে যান। এই সময় মন্দিরে লাউডস্পিকারে গান বাজছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপরই ঘটনাস্থলে হাজির হয় সদাজী ঠাকুর, বাবুজী ঠাকুর এবং বীনুজী ঠাকুর সহ মোট 6 জন ব্যক্তি। তারা এসে সেখানে জিজ্ঞাসা করে, “এখানে এত জোরে লাউডস্পিকার বাজছে কেন?” আর সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত হয় বলে জানা গিয়েছে।
মৃতের দাদা অজিত এদিন জানান, “আমরা মন্দিরে পুজো করছিলাম। সেই সময় মন্দিরে লাউডস্পিকার বাজছিল হঠাৎ সেখানে সদাজী ঠাকুর নামের এক ব্যক্তি এসে হাজির হয় এবং এসেই সে গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর আমরা আপত্তি জানালে সে তার আরো সঙ্গীদের ডাকে এবং লাঠি দিয়ে আমাদের ওপর হামলা শুরু করে তারা।
সূত্রের খবর এই হামলার ফলে সেখানে গুরুতর জখম হয়ে যান যশবন্ত ঠাকুর এবং তার দাদা অজিত ঠাকুর। এর পরে তাদেরকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অজিতকে বাঁচানো গেলেও হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যশবন্ত। এরপরে অজিতের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে স্থানীয় থানার পুলিশ এবং তাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে খুন সহ একাধিক মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।