বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও টাকার (Money) পাহাড় উদ্ধার হল শাসক দলের নেতার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় ৪২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে আয়কর দফতর (Income Tax Department)। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পাশাপাশি তদন্তকারী কর্মকর্তারাও খতিয়ে দেখছেন যে, এই পরিমাণ টাকা এলো কোথা থেকে? ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Bidhansabha Election) ভোট কেনার জন্যই নাকি এই টাকা মজুদ করা হয়েছিল__এমনটাই দাবি বিরোধী নেতৃত্বদের।
আয়কর দফতর থেকে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে আরটি নগরের আত্মনন্দ কলোনিতে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন কাউন্সিলর অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ঐ ফ্ল্যাটেরই একটা ঘরে বিছানার নিচ থেকে এই টাকা উদ্ধার করা হয় বলে খবর। মোট ২৩ টি বাক্সে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল উদ্ধার করেছে ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট। এই টাকা গোনার জন্য মেশিনও আনতে হয়েছিল কর্মকর্তাদের।
এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে আছে কর্ণাটকের (Karnataka) হাওয়া। বিরোধীরা প্রশ্ন তো তুলছেই তার সাথে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষও। পাশাপাশি বিষয়টা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী কর্মকর্তারাও। এই টাকা তার একান্তই নিজের নাকি অবৈধভাবে এসেছে, বিষয়টি সরেজমিনে দেখছে তদন্তকারীরা। মিডিয়া সূত্রে খবর, কর্নাটকের ওই কংগ্রেস নেতার অভিযুক্ত আত্মীয় পেশায় একজন ঠিকাদার।
আরও পড়ুন : এর কাছে নস্যি মুকেশ আম্বানির রাজপ্রাসাদও! বিশ্বের সবথেকে বড় ও বিলাসবহুল বাড়ি কোথায় আছে জানেন?
এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে আয়কর দফতর। তবে সেইসব অভিযান নিয়ে কোনো বক্তব্য এখনই খোলসা করতে চাননি তারা। এমনকি বাকি জায়গা থেকে ঠিক কত টাকা উদ্ধার হয়েছে সে বিষয়েও কোনও তথ্য মেলেনি। তবে ইতিমধ্যেই অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। অভিযোগ এটাই যে, এই টাকা নাকি আসন্ন বিধানসভা ভোটের জন্য তোলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : স্ক্রিপ্ট পেলেও ছবিতে না দেবের! জিৎ-র সাথে কাজে অনীহা? মুখ খুললেন অভিনেতা
এই প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা এবং প্রাক্তন ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী অশ্বথ নারায়ণ বলেছে, ‘আসন্ন নির্বাচনের জন্য তেলেঙ্গানায় এই টাকা পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল কংগ্রেসের। কংগ্রেস সরকার কর্ণাটককে অন্যান্য রাজ্যের নির্বাচনের জন্য এইভাবেই টাকা লুকিয়ে রাখছে। আরও অনেক পরিমাণ টাকা উদ্ধার করা বাকি আছে।’ যদিও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কোনও রাজ্যই অন্য রাজ্যের কাছে টাকা চাইবে না এবং আমরা আমাদের টাকা অন্য রাজ্যকে দেব না। বিজেপি অহেতুক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’