বাংলা হান্ট ডেস্কঃ “প্রয়োজনে বকেয়া ডিএ কিস্তিতে দেওয়া হোক। আমরা তাতেও প্রস্তুত।’’ বুধবার ডিএ মামলার (Dearness Allowance) সুপ্রিম (Supreme Court) শুনানিতে এমনই সওয়াল করলেন মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়াও। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চের আইনজীবী বলেন, “এআইসিপিআই প্রতি মাসে পরিবর্তন হয়। যেহেতু প্রতি মাসে ডিএ পাল্টানো সম্ভব নয়। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকার বছরে দু’বার ডিএ দেয়। আগে রাজ্য সরকারও বছরের দু’বার ডিএ দিত। পরে তারা একবার করে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তার পরে এক বছর ছাড়া ছাড়া ডিএ দেওয়া হত আর এখন ডিএ দেওয়ার কোনো কথা বলছেই না রাজ্য।’’
ডিএ মামলার সুপ্রিম শুনানিতে যা হল | Dearness Allowance
বুধে ফের ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানিতে সওয়াল করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবীরা। রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “ঠিক সময়ে ডিএ দেওয়া হয়নি কেন?” একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, “পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের দিল্লি, চেন্নাইয়ে কী হারে ডিএ দেওয়া হয়?”
এদিন মামলাকারী কর্মীদের আইনজীবী গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ডিএ কোনও দয়া নয়, এটি বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় অন্তর দেওয়া বাধ্যতামূলক। এটিকে ইচ্ছাধীন বলে দেখা চলে না।” ডিএ কোনও অনুগ্রহ নয়, এটা সরকারি কর্মীদের ন্যায্য অধিকার, এই প্রসঙ্গ ওঠে।
সরকারি কর্মীদের আইনজীবী জানান, “২০০৯ সালের রিভাইজড পে অ্যান্ড অ্যালোয়েন্স রুলস হিসেবে ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ডিএ প্রযোজ্য হওয়ার কথা। এদিকে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ের বকেয়াই দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। ” তিঁনি জানান, “নয়াদিল্লির বঙ্গভবন ও চেন্নাইয়ের ইউথ হোস্টেলে কর্মরতদের এআইসিপিআই সূচক অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নিয়মেই ডিএ দেওয়া হচ্ছে। অথচ, পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত সরকারি কর্মীদের তা দেওয়ার হচ্ছে না।”
কীভাবে একই নিয়মে নিযুক্ত কর্মচারীদের একাংশকে বেশি ও অন্য অংশকে কম দেওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিঁনি। গোটা বিষয়টি সমতার অধিকারে লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করেন আইনজীবী। বুধবারের মতো ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামীকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: রাজ্যকে সাত দিনের ডেডলাইন! এরপর ‘মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হবে’, বিরাট নির্দেশ ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের
বৃহস্পতিবার রাজ্য পাল্টা সওয়াল করবে। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীরাও নিজেদের বক্তব্য জানাতে পারবেন। বৃহস্পতিবারই শেষ শুনানি হওয়ার কথা। আগামীকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় কী রায় দেয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।