‘সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে’, DA মামলায় কী নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট?

Published on:

Published on:

dearness allowance(18)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবারও ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চে এদিন ডিএ মামলার শুনানিতে সরকারি কর্মীদের তরফে আইনজীবী রউফ রহিম বলেন, ‘কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি ছাড়াই রাজ্য সরকার তাদের খেয়াল খুশি মতো ডিএ দিচ্ছে।’

ডিএ মামলার শুনানিতে কী হল? Dearness Allowance

পর্যবেক্ষণে বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র বলেন, ‘রাজ্যেকেই কর্মীদের আর্থিক অবস্থার কথা ভাবতে হবে৷ রাজ্য সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করে তার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ বিচারপতি বলেন, এরা নিজেরাই সমস্যা তৈরি করেছে, নিজেরাই সেই সমস্যার সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’ সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানাল, ‘নিজেদের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যকে তার নিজের তৈরি বিধি মানতে হবে।’

বিচারপতি করোলের পর্যবেক্ষণ, ‘মাথায় রাখতে হবে এটা কোনও আর্থিক ইমার্জেন্সি নয়৷’ এদিন শুরুতেই সরকারি কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী করুণা নন্দী সওয়াল, কেরল সরকার এআইসিপিআই মানেনি, তা সত্ত্বেও তারা কর্মচারীদের নিয়মিত ডিএ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ইনডেক্স না মানলেও ডিএ প্রদান বাধ্যতামূলক বলে দাবি করেন আইনজীবী।

বিচারপতি করোলের পর্যবেক্ষণ, যদি রাজ্য সরকারের যুক্তি গণ্য করা হয়, তা হলে এই পদক্ষেপকে স্বেচ্ছাচারিতা হিসেবে দেখা হতে পারে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘সরকার ডিএ দেওয়ার আগে মুদ্রাস্ফীতি বিশ্লেষণ করে অন্যান্য বাজেটারি বিষয়ও মাথায় রেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি আলাদা। রাজ্যের নীতি ভিন্ন। রাজ্যের পূর্ণ অধিকার আছে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। রাজ্য কোনও স্বেচ্ছাচারিতা করেনি।’

dearness allowance(14)

আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতের রায় মানা হয়নি! জয়েন্ট এর ফল প্রকাশ নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের

বৃহস্পতিবারের মত ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ফের মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

সবিস্তারে আসছে…